This Article is From Dec 04, 2019

আমন্ত্রিত হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল, স্বাগত জানাতে এলেন না কেউ

রাজ্যপাল জানান, তিনি ভিসিকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যে তিনি দুপুর দু’টোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। অথচ এসে দেখেন ভিসির অফিস তালাবন্ধ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিরও রাজনীতিকরণ করার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল (West Bengal Governor) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সংঘাত নতুন মাত্রা পেল। বুধবার রাজ্যপাল অভিযোগ জানালেন, তিনি এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) গেলে তাঁকে কেউ স্বাগত জানাতে আসেননি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এমনকী, দরজাও বন্ধ ছি‌ল। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিরও রাজনীতিকরণ করার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন রাজ্যপাল। এদিন সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘গত ২৮ নভেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২ সদস্যের সেনেটের বৈঠকে অংশ নিতে আমাকে অনুরোধ করা হয়। আমি ভেবেছিলাম এটা একটা দারুণ সুযোগ যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত অর্থাৎ এখানকার কর্মী ও পড়ুয়ারা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের।'' তিনি জানাচ্ছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানাতে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। কেবল তাই নয়, ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসের দরজাও বন্ধ ছিল।

তিনি আরও বলেন, তাঁর দফতর পরে জানতে পারে কোনও কারণে ওই বৈঠক বাতিল করা হয়। রাজ্যপাল তৎক্ষণাৎ তাঁর দফতরকে নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রারকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা জানাতে। কেননা এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।

এমন ভাবে পাঁচিল টপকানো হয়েছিল যেন লাদেনের আত্মীয় রয়েছে: চিদাম্বরমের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী

Advertisement

তিনি জানান, ‘‘সরকার ভাইস চ্যান্সেলরকে নির্দেশ দিয়েছে, চ্যান্সেলরকে নয়। আমি নিশ্চিত ইতিহাসে এমন নজির খুব বেশি নেই।'' তিনি দাবি করেন, কোনও দেশেই কখনও এমনটা ঘটতে দেখা যায়নি যে সরকারের তরফে ভিসি বা ভাইস চ্যান্সেলরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চ্যান্সেলরকে নয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। তিনি জানান, ‘‘চ্যান্সেলরের ক্ষমতা রয়েছে ভিসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার।''

রাজ্যপাল জানান, তিনি ভিসিকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যে তিনি দুপুর দু'টোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি ভুল হই, আমকে ঝুলিয়ে দিন। কিন্তু আমি যখন পৌঁছই, আমাকে স্বাগত জানাতে কেউ হাজির ছিল না। আমি স্বাগত জানানোর বিষয়টা পছন্দ করি না। কিন্তু আমাকে অফিসটা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এরপর আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখতে পাই ভিসির অফিস তালাবন্ধ।''

Advertisement

ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল আরও বলেন‌, ‘‘আমরা কোনদিকে যাচ্ছি? শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত একটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত নীতি রয়েছে। আমি সেটাকে উন্নত করতে চাইলে একটা জায়গাতেই পৌঁছেছি— কৃষ্ণগহ্বর। আমি সরকারকে আবেদন জানাচ্ছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির রাজনীতিকরণ করবেন না।''
 

Advertisement