This Article is From Aug 28, 2019

অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়

শারিরীক অবস্থা ভাল না হওয়ায় দলের পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদকণ্ডলী থেকে সরে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)।

Advertisement
Kolkata Edited by (with inputs from PTI)

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (ফাইল)

কলকাতা:

অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) দেখতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার বিকেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতার বাড়িতে যান রাজ্যপাল। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কথা বলেন বলে সিপিআইএম সূত্রের খবর। গত দুবছর ধরে শারীরিক অবস্থা ভাল নয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ২০০০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারিরীক অবস্থা ভাল না হওয়ায় সিপিআইএমের পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদকণ্ডলী থেকে সরে যান তিনি।  

২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয় হয় বামেদের। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসা ঘটে ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১-এর ভোটে পরাজয়ের পর থেকে রাজ্য সংগঠনের বিভিন্ন দিক দেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এই বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা। দলের শুদ্ধিকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি।

এক সময়ে চেন স্মোকার ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিসঅর্ডার বা COPD  রোগে আক্রান্ত তিনি। ২০১৯ এর ৩ ফেব্রুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশে শেষবার দেখা গিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

Advertisement

২০১১ পর্যন্ত যাদবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মনীশ গুপ্তের কাছে পরাজিত হন তিনি। বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন, যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় রাজ্যের ২০১১-এ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া মনীশ গুপ্ত।  

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন হুগলির সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো কারখানা গড়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। সেই সময় তৎকালীন রাজ্য সরকার তথা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৎকালীন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

টানা ২৬দিন সিঙ্গুরে অনশন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তাঁর আমলেই নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব গড়া নিয়েও সেই জমি আন্দোলন হয়। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ তুলে আবারও আন্দোলন হয়।

সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের নেপথ্যেও এই দুই ঘটনা রয়েছে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement