COVID-19: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কম খরচে একটি থ্রি-লেয়ার ফ্যাব্রিক মাস্ক তৈরির চেষ্টা করছেন (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা সহ মাস্ক তৈরির চেষ্টা
- অল্প খরচে যাতে ওই মাস্ক তৈরি করা যায়, চেষ্টা করছেন যাদবপুরের গবেষকরা
- বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই আরও বেশি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে ওই মাস্ক নিয়ে
কলকাতা: রাজ্য তথা দেশের মানুষের হাতে কম দামে যথেষ্ট সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে করোনা (Coronavirus) মাস্ক তৈরিতে এবার এগিয়ে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই ওই মাস্ক তৈরি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) গবেষকরা। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যাদবপুরের সেন্টার ফর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট সোশ্যাল টেকনোলজিসের অধ্যাপক-গবেষকরা বাড়িতে বসেই সস্তায় মাস্ক তৈরির বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এরপরেই একটি ত্রিস্তরীয় মাস্ক তৈরি করতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাস্কের বাইরের স্তর দুটো পলিপ্রোপিলিন ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি, আর ভিতরের দিকের অংশটি একটি তুলোর তোয়ালে অভ্যন্তরীণ অংশ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। "হাঁচির কারণে যে সংক্রমণ (COVID-19) ছড়িয়ে পড়তে পারে তা আটকাতে কতটা সক্ষম ওই মাস্ক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, পাশাপাশি ওই মাস্ক পরে যাতে শ্বাস নিতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে", এক বিবৃতিতে বলেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়।
এবার মানুষের পাশাপাশি বাঘিনীর দেহেও মিলল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি!
লকডাউনের জেরে এখন বন্ধ রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই অবরুদ্ধ দশা মিটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে আরও বড় আকারে এই মাস্ক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে, বলা হয়েছে জেইউয়ের তরফে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, "থ্রি-লেয়ার মাস্কটি যথেষ্ট উপযুক্ত পদ্ধতি মেনেই তৈরি করা হয়েছে, এটা সেলাই মেশিন দিয়ে তৈরি করা যাবে আবার এটিকে হাতে সেলাই করেও খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য হিসাবে গড়ে তোলা যাবে"।
ডিডি বাংলায় নয়, ৭ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়াল ক্লাস হবে এবিপি আনন্দে
শুধু যাদবপুরই নয়, আইআইটি খড়গপুরের স্কুল অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির দুই গবেষকও COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্যে এক বিশেষ মাস্ক তৈরি করেছেন। ফেস শিল্ডের প্রোটোটাইপই ওই মাস্ক। অনেকেই বলছেন ওই মাস্ক আসলে মুখের সঙ্গে একটি ইলাস্টিক দিয়ে আটকানো স্বচ্ছ প্লাস্টিকের প্রতিরক্ষামূলক কভার।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই রোগে, সব মিলিয়ে মোট ১০৯ জনের প্রাণ কেড়েছে রাক্ষুসে ওই ভাইরাস। শুধু তাই নয়, একদিনের মধ্যে এদেশে নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৬৯৩ হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৪,০০০-এর থেকেও বেশি মানুষ আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে, মোট সংখ্যা ৪,০৬৭ জন। এই নিয়ে এটি টানা চতুর্থ দিন ভারতে ৫০০-এরও বেশি মানুষ একদিনে করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)