Read in English
This Article is From Aug 16, 2020

রাজভবনে নজরদারি চলছে, অভিযোগ রাজ্যপালের, কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদের

স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাজ্যপালের চা চক্রের অনুষ্ঠানে গড়হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ওপর নজদারির অভিযোগ তুললেন জগদীপ ধনকর

কলকাতা:

স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের ডাকা চা চক্র নিয়ে রাজভবন-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাত ছড়িয়ে পরল রবিবার। এদিন রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে রাজভবনের ওপর নজরদারি চালানো এবং প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদাক্ষুণ্ন করার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, “আমি আপনাদেল সবাইকে জানাতে চাই যে, রাজভবনে নজরদারি চলছে। এতে রাজভবনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমি এর পবিত্রতা রক্ষার্থে যা যা করার, সেটাই করব”।তিনি বলেন, “আমি এটা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণভাবে তদন্ত শুরু করেছি। রাজভবনের মর্যাদা অটুট রাখা প্রয়োজন”। যদিও জগদীপ ধনকরের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাজ্যপালের চা চক্রের অনুষ্ঠানে গড়হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চা চক্রের পরেই টুইটে রাজ্যপাল জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিতিতে “বিস্মিত এবং হতবাক”, তাঁর আসনের পরেই, মুখ্যমন্ত্রী জন্য বরাদ্দ আসন ফাঁকা থাকার ছবিও পোস্ট করেন রাজ্যপাল।

চা চক্রের পরেই টুইটে রাজ্যপাল জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিতিতে “বিস্মিত এবং হতবাক

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সেখানে রাজ্যপালকে “আঙ্কেলজি” বলে সম্মোধন করেন তৃণমূল সাংসদ। টুইটারে তিনি লেখেন, “এখন আঙ্কেলজির দাবি, তিনি এবং রাজভবন নজরদারিতে রয়েছে। বিশ্বাস করুন,      সে বিষয়ে আপনার গুজরাটের বসই এগিয়ে, আমরা সেখানে শিশু”।

মহুয়া মৈত্র রাজ্যপালকে আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, স্বাধীনতার দিবসের দিনে সকালেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এবং সন্ধের অনুষ্ঠানে যো দিতে পারেননি।

এছাড়াও ৯৬ জনের স্বাক্ষর না করা নামের তালিকার ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন, যেটিকে, চা চক্রে আমন্ত্রিতদের তালিকা বলেই মনে করা হচ্ছে, তাঁর প্রশ্ন, করোনার মতো অতিমারীর সময়ে কেন এতজনকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Advertisement
Advertisement