Read in English
This Article is From Jun 11, 2020

লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর ফের কলকাতায় বাড়ছে বায়ুদূষণ

Kolkata's Air quality: জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিন অর্থাৎ ৮ এবং ৯ জুন কলকাতায় পিএম ১০ এর গড় পরিমাণ ৪৮ এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে

Advertisement
Kolkata Edited by

Bengal Lockdown: লকডাউনে কলকারখানাগুলো বন্ধ থাকায় কলকাতার বায়ুমানের অনেক উন্নতি হয়েছিল (ফাইল চিত্র)

Highlights

  • কলকাতায় ফের বাড়ছে বায়ুদূষণ, চিন্তা বাড়ছে পরিবেশবিদদের
  • লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ থাকায় এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছিল দূষণের মাত্রা
  • আমফানের ফলে শহরের বহু গাছ উপড়ে পড়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে
কলকাতা:

ফের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য (West Bengal)। লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হওয়ায় সোমবার থেকেই শহরের (Kolkata) রাস্তায় যান চলাচলের ব্যস্ততা বেড়েছে। আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শহরের বায়ুদূষণের মাত্রাও। যে তিলোত্তমার বাতাসে দূষণের (Kolkata's Air quality) পরিমাণ কড়া লকডাউন (Bengal Lockdown) চলাকালীন প্রচুর পরিমাণে কমেছিল, তাই এখন ফের বাড়তে শুরু করেছে। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন যে এই পরিস্থিতি দ্রুত আরও খারাপ হতে পারে। পরিবেশবিদদের মতে, লকডাউনের সময় শিল্প কলকারখানা ও যানবাহনের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাতাসের গুণমানের যথেষ্টই উন্নতি হয়। সেই পরিস্থিতিই এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে কলকাতার প্রায় ১৫,৬০০ টি গাছ উপড়ে যাওয়ায় সবুজায়নের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আবার যানবাহন ধীরে ধীরে বেশি পরিমাণে রাস্তায় নামায় কল্লোলিনীর বাতাস ক্রমেই আরও দূষিত হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

"চিন্তাভাবনা" করে তবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য করা উচিত: দিলীপ ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানান যে, ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে যে স্বয়ংক্রিয় বায়ু মনিটরিং স্টেশনটি আছে তাতে দেখা গেছে যে পিএম ১০ এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৮ এ পৌঁছে গেছে।

Advertisement

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা খুলছে শনিবার

পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ আগামী দিনগুলিতে কলকাতার বায়ুর গুণমান ধীরে ধীরে আরও খারাপ হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুর্গাপুজোর সময়ে যেভাবে শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছিল তা দেখার পরেও যতটা সতর্ক হওয়া প্রয়োজন তা দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যান বের করতে হবে"।

Advertisement

আমফান পরবর্তী সময়ে রাস্তার পাশেই ছোট ছোট হোটেল খোলায় এবং গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে কলকাতার বায়ুদূষণের সূচক যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করছেন ওই পরিবেশবিদ।

এদিকে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন যে প্রতিদিন রাস্তায় যেভাবে ধীরে ধীরে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি কলকাতার বায়ুদূষণের মাত্রা আগের অবস্থাতেই ফিরতে চলেছে। 

Advertisement