বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পৌষ মেলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিল NGT
কলকাতা: পরিবেশ বান্ধব উপায়ে 'পৌষ মেলা'-র আয়োজন করার জন্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (National Green Tribunal) বা জাতীয় পরিবেশ আদালত (NGT)। প্রতি বছরই শান্তিনিকেতনে বীরভূম জেলা প্রশাসন ও বোলপুর পুরসভার সহযোগিতায় এই 'পৌষ মেলা'-র আয়োজন করে বিশ্বভারতী। জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং প্রফেসর (ডঃ) পি সি মিশ্রের দুই সদস্যের এনজিটি বেঞ্চ তার নতুন নির্দেশে বিশ্বভারতীকে মেলা (Pous Mela) চলার সময় পরিবেশ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বোলপুর পুরসভা ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে মিলিতভাবে মেলার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বহন করবে। ট্রাইব্যুনাল এও আদেশ দিয়েছে যে ওই অঞ্চলে শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। আর আতসবাজির প্রদর্শন করতে হলেও ওই ঐতিহ্যবাহী মেলার মাঠ থেকে দূরে খোলা জায়গায় আয়োজন করতে হবে এবং সেই আতসবাজি প্রদর্শনী আধঘণ্টার বেশি করা যাবে না।
''Pous Mela'': NGT-এর নির্দেশে আয়তন কমছে বিশ্বকবির পৌষ মেলার
মেলা আয়োজনের বিষয়ে আদালত কয়েকটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা সহ ২০১৭ সালের নির্দেশটিও জুড়ে দিয়েছিল। ওই সময় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছিল, ধুলো ও বর্জ্য অপসারণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং মেলা প্রাঙ্গনে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুবিধাসমূহ সহ একটি বদ্ধ জায়গায় খাদ্য স্টল রাখতে হবে, পাশাপাশি রাখতে হবে শৌচালয়ের ব্যবস্থাও। এনজিটি মেলা আয়োজকদের চার দিন পর্যন্ত পৌষ মেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে এবং মেলা প্রাঙ্গনের স্টলগুলি উচ্ছেদ ও অপসারণের জন্য আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করেছে।
চলতি বছর ২৩ ডিসেম্বর থেকে 'পৌষ মেলা' অনুষ্ঠিত হবে যেখানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মেলা চলাকালীন কঠিন বর্জ্য পদার্থের যথাযথ ব্যবস্থার ও বর্জ্য পদার্থ জ্বালিয়ে দেওয়া বন্ধ করার জন্যও বেঞ্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এর আগে 'পৌষ মেলা'র ব্যবস্থাপনার তদারকি ও পর্যবেক্ষণের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল।
বাধা গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ, পৌষমেলা আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র ওই প্যানেলের সদস্য। "বিশ্বভারতী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে থাকাকালীন, মেলা প্রাঙ্গনকে পরিবেশ-বান্ধব করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারবে না", বলেন সুভাষ দত্ত । যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ১৮৯৪ সালে শুরু করেছিলেন এই 'পৌষ মেলা' এবং তারপর ১৯৫১ সাল থেকে এই মেলার আয়োজনের দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় যোগ দিতে শান্তিনিকেতনে জড়ো হন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)