This Article is From May 14, 2020

করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখলেও "সেল্ফ আইসোলেশন" বাধ্যতামূলক, বলল রাজ্য সরকার

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে করোনার লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন প্রোফিল্যাক্সিস ওষুধটি ব্যবহার করা উচিত

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

West Bengal: নির্দেশিকায় কীভাবে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া হবে সেবিষয়েও বিস্তারিত বলা আছে (প্রতীকী ছবি)

Highlights

  • করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রাজ্যেও
  • এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ২,১৭৩ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
  • সারা দেশে করোনা আক্রান্ত মোট ৭৮,০০৩ জন, মারা গেছেন ২,৫৪৯ জন
কলকাতা:

গোটা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এবার তাই রাজ্যে কোভিড- ১৯ (Coronavirus) এর সংক্রমণ রুখতে হাল্কা জ্বর সহ করোনা ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখলেই তাঁদের স্বেচ্ছা বিচ্ছিন্ন (Self-isolation) থাকা বাধ্যতামূলক, ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী করোনা সংক্রমণ আছে এমন মানুষজনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও (Coronavirus Caregivers) সেল্ফ আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "করোনা সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখলেও সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে এবং পরিবারের সব সদস্যদেরও নিজেদের বাড়িতে যথাযথ সুবিধা থাকলে ঘরেই কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। পাশাপাশি ২৪x৭ সময়ে তাঁদের দেখভাল করা জন্য একজন পরিচর্যাকারী ব্যক্তিকে তাঁদের বাড়িতে থাকতে হবে" ।

ওই সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, করোনার লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে
হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন প্রোফিল্যাক্সিস ওষুধটি ব্যবহার করা উচিত। তাছাড়া ঘরে স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকাকালীন নিয়মিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ীই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

করোনা ভাইরাসের থেকে "হয়তো আর কখনোই সম্পূর্ণ মুক্তি" মিলবে না: হু

Advertisement

এর আগে গত ১১ মে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকা অনুসারে, করোনা আক্রান্ত রোগী বা তাঁর তত্ত্বাবধায়কের মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি বাধ্যতামূলকভাবে ডাউনলোড করতে হবে এবং সবসময়ই সেটিকে ব্লুটুথ দিয়ে হোক বা যেভাবেই হোক ডেটা সচল রাখতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জারি করা করোনা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় কীভাবে একজন আক্রান্তের জন্যে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া সম্ভব হবে সেবিষয়েও বিস্তারিত বলা আছে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩৪, আক্রান্ত ৩,৭২২ জন: ১০টি তথ্য

"যদি কেউ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন, লাগাতার বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ অনুভব করেন, ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়েন, ঠোঁট বা মুখের রং নীল বা ফ্যাকাসে হয়ে যায় বা অন্য যেকোনও করোনা সংক্রান্ত লক্ষণ বাড়তে থাকে তবে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল অফিসার বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং অবিলম্বে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত", একথাও বলা হয়েছে ওই সরকারি নির্দেশিকায়।

Advertisement

গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মারফৎ COVID-19 সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান মিলেছে। সেই হিসেব বলছে, এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৭৩ জন, যার মধ্যে ১,৩৬৪ জন এখনও ওই রোগে ভুগছেন। বাকিদের মধ্যে কিছু লোক মারা গেছেন, আর কিছু রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Advertisement