This Article is From Dec 12, 2019

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দলীয় কৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Citizenship Amendment Bill: ২০ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী, উপস্থিত থাকবেন জেলা সভাপতি, দলীয় সাংসদ-বিধায়ক সহ সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতারা

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দলীয় কৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

West Bengal: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণম

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ২০ ডিসেম্বর ওই বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী
  • তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ
কলকাতা:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (Citizenship Amendment Bill) প্রতিবাদে এবার রাজ্য (West Bengal) তথা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই লক্ষ্যেই দলীয় কৌশল নির্ধারণ করতে নিজের দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee) সহ রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের (TMC) এক নেতা বলেন, বাংলায় এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রয়োগের বিরোধিতা করার জন্যে কীভাবে এগোবে দল, সে বিষয়ে নীতি নির্ধারণ তথা দলীয় কৌশল ঠিক করতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং দলের সাংসদ-বিধায়কদের ওই বৈঠকে আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। "তৃণমূল নেত্রী আগামী ২০ ডিসেম্বর ওই জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। জেলা সভাপতি, দলীয় সাংসদ এবং বিধায়ক সহ সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ওই বৈঠকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল অবলম্বন করতেই ওই বৈঠক", বলেন ওই তৃণমূল নেতা।

এই রাজ্যে আমরা মানুষকে বিভক্ত করি না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরও ২০ ডিসেম্বরের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। আর তাঁদের এই লক্ষ্যে হয়তো অশ্বমেধের ঘোড়ার ভূমিকা পালন করবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি বিরোধিতা।

এরই মধ্যে দেখা গেছে, সম্প্রতি রাজ্যে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের ফলাফলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আতঙ্কের কারণেই রাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে গেরুয়া দলকে। আর তা যদি সত্যি হয় তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রমাদ গুণতে হবে বিজেপিকে।

মুখ্যমন্ত্রীর অভয়বাণী, "বাংলায় চালু হবে না এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল"

এদিকে রাজ্যসভায় বুধবার পাস হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এই বিলের পক্ষে পড়ে ১২৫ টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ৯৯টি ভোট। লোকসভায় এই বিতর্কিত বিলটি সোমবারই পাস হয়ে যায়। সেখানে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, ফলে মোট ৩৩৪ জন সাংসদের সমর্থন পায় বিলটি। ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বিল পাসের জন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যা তারা জোগাড় করতে পেরেছিল। সংসদের উভয়কক্ষেই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।  এই বিলের সমালোচনায় সোচ্চার হয় বিরোধী দলগুলি, কারণ তাঁদের মতে এই বিলটি মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করে এবং সাম্যের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে।

দেখুন এই ভিডিও:



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.