This Article is From Nov 23, 2019

মুসলিম দরদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এআইএমআইএম

West Bengal: "বাংলার সংখ্যালঘুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন", বলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়

মুসলিম দরদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এআইএমআইএম

AIMIM: এই রাজ্য থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় ওয়াইসির দল

কলকাতা:

২০২১ সালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ফ্যাক্টর হতে পারে আসাউদ্দিন ওয়াইসির (Asaduddin Owaisi) এআইএমআইএম, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। কেননা এতদিন পর্যন্ত এই রাজ্যে সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করে নিজের জায়গা বেশ ভাল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেছে এআইএমআইএম। আর এই ঘোষণাই এ রাজ্যের ক্ষমতা দখলের লড়াইকে এক নতুন মাত্রা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলে দিয়েছে। যেভাবে সাম্প্রতিক সময়ে আসাউদ্দিন ওয়াইসিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee), তা অনেককেই অবাক করে দিয়েছে। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমীন (AIMIM) হায়দরাবাদ থেকে টাকার থলি নিয়ে এ রাজ্যে এসে মুসলিমদের দরদ দেখাচ্ছে, এআইএমআইএম আসলে বিজেপির (BJP) সবচেয়ে বড় বন্ধু, এমনটাই বলতে শোনা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। রাজ্যের বাইরে থেকে আসা এই দলের নেতাদের যেন ভরসা না করেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়, এমন ভাবেও রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন তিনি।

জবাবে আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন যে উন্নয়নের সূচকে দেশের সব রাজ্যের মধ্যে বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, যদি আমদের কাজ বিচ্ছিন্নতাবাদ হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। বিচ্ছিন্নতাবাদ সেটাই যে তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঢুকতে দিয়েছেন, এদিকে যেহেতু রাজ্যে মুসলিমদের মধ্যে মানবতার সূচক কম, সেই কারণে, তিনি মুসলিমদের নীচু নজরে দেখছেন”। ওয়াইসি এই কথাও পোস্ট করেন যে, “হায়দরাবাদের দল থেকে দিদি যদি শঙ্কিত থাকেন, তাহলে তার উত্তরে আমাদের বলা উচিত. বাংলার ৪২টি আসনে কীভাবে বিজেপি ১৮টিতে জিতল”।

"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক হারানোর ভয়েই রেগে যাচ্ছেন": AIMIM Bengal

হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন যে তাঁর দল এআইএমআইএম ইতিমধ্যে দেড়-দুই বছর ধরে এ রাজ্যে কাজ করছে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে দল। তিনি বলেন, "আমি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তবে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমার সাংবিধানিক অধিকারগুলি অনুধাবন করতে হলে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে .... এই সব সুবিধাবাদী দলগুলি যারা ক্ষমতায় থাকার জন্যে মুসলমানদের ব্যবহার করেছে তাঁদের থামাতে হবে"।

বিজেপির বড় সহযোগী হায়দরাবাদ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে...ওয়াইসিকে ফের আক্রমণ মমতার

এদিকে তৃণমূলকে নিশানায় রেখে এআইএমআইএমের রাজ্য সভাপতি জামিরুল হাসান পিটিআইকে বলেন,"গত বছর থেকে, আমরা মুসলিম অনুপ্রবেশ এবং বাংলায় প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে রাজনীতি হতে দেখেছি। টিএমসি সংখ্যালঘু ভোট পেতে রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই করেনি। সুতরাং, আমরা সংখ্যালঘু জেলাগুলিতে আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছি,  মুসলমানদের শিক্ষিত করছি এই বলে যে তাঁদের ভালোর জন্যেও এনআরসি দরকার"। তিনি বলেন, এআইএমআইএম রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কিনা তা ওয়াইসিই সিদ্ধান্ত নেবেন।

"বাংলার সংখ্যালঘুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। বিজেপির এজেন্ট হিসাবে থাকা এআইএমআইএম-এর মতো দলগুলির রূপ ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে", বলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.