This Article is From Jun 11, 2019

অর্থনীতির দিক থেকে খারাপ পরিস্থিতি নয় বাংলার: মমতা

পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নতি হয়েছে বলে এদিনের অনুষ্ঠানে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

অর্থনীতির দিক থেকে খারাপ পরিস্থিতি নয় বাংলার: মমতা
কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের আবহেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য। ভোট চলাকালীনও বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর এসেছে, এমনকীও, মৃত্যু হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত চরমে উঠেছে। একে অপরের দিকে তোপ দেগে চলেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, রাজনৈতিকভাবে শান্তিপূর্ণ না হলে, অর্থনৈতিকভাবে “খারাপ পরিস্থিতি” নয় বাংলার। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত আট বছরে রাজ্যের পরিস্থিতি “পুরোপুরি” পাল্টেছে। মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) বলেন, “রাজনৈতিকভাবে বাংলা হয়ত, শান্তিপূর্ণ নয়...কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি খারাপ নয়।কিছু মানুষ প্রচার করে বেড়াচ্ছে, বাংলার পরিস্থিতি খারাপ এবং শান্তিপূর্ণ নয়”।

কলকাতায় রয়্যাল বেঙ্গল হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৩৪ বছরের বাম শাসনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আপনি বাংলার সুনাম করতে পারেন। বাংলায় ৩৪ বছর আগে কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে”। বাংলায় বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বলেন, “কানপুরের চর্মশিল্প আমাদের রাজ্যে এসেছে, দু লাখ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা”। প্রস্তাবিত সিলিকন ভ্যালির জন্য ২০০ একর জমি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজারহাটে আমাদের বিশ্বমানের কনভেনশন সেন্টার রয়েছে। দিঘার সমুদ্রের পাশে আরেকটা তৈরি হচ্ছে”।

পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নতি হয়েছে বলে এদিনের অনুষ্ঠানে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আসা বিদেশ পর্যটকদের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ এবং দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন আইটিসির চেয়াম্যান ওয়াইসি দেবেশ্বর, এদিন আইটিসিরই হোটেলের অনুষ্ঠানে তাঁকে স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।তিনি বলেন, “আমার দেবেশ্বরকে খুব মনে পড়ে। আমি তাঁকে রাজ্যের অভিভাবক মনে করি”।

.