This Article is From Mar 30, 2020

রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মোট ২২ জন ভুগছেন ওই মারণ রোগে

Kolkata: জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যার কারণে করোনা আক্রান্ত ৭৭ বছরের বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আপাতত ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি

রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মোট ২২ জন ভুগছেন ওই মারণ রোগে

West Bengal: রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের

হাইলাইটস

  • রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধ
  • জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
  • এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত ২২ জন. মৃত ২
কলকাতা:

মাত্র ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে (West Bengal) করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ থেকে লাফিয়ে ২২ হল, ফলে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। সোমবারই ৭৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের শরীরে করোনা ভাইরাস (COVID-19) পজিটিভ ধরা পড়েছে। এদিকে রবিবার মাঝরাতে উত্তরবঙ্গে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে, এই নিয়ে এ রাজ্যে দু'জনের প্রাণ কাড়ল রাক্ষুসে ভাইরাস (Coronavirus) করোনা। রাজ্যের এক উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যার কারণে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৭৭ বছরের ওই বৃদ্ধকে রবিবার সন্ধেবেলায় কলকাতার (Kolkata) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই বৃদ্ধ এর আগে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বলে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। আপাতত ওই করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালের একটি বিচ্ছিন্ন ইউনিটে ভেন্টিলেটর সহায়তায় রাখা হয়েছে।

এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে রবিবার ভোর-রাতে কালিম্পঙের যে মহিলার মৃত্যু হয় তিনি এক সপ্তাহ আগেই চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন, সেখানে নিজের মেয়ের চিকিৎসার জন্যে গিয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু চেন্নাই থেকে ফেরার পরেই তাঁর শরীরে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। আপাতত ওই মহিলার মেয়ে এবং চিকিৎসককেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে খবর।

গ্রামের নাম "করৌনা", মারণ ভাইরাসের দাপটে এখন রাতারাতি ভিলেন এই গ্রাম!

এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের বলি হলেন ২ জন। কালিম্পঙের বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলার মৃত্যুর আগে দমদম এলাকাতেও এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক।

এদিকে করোনা সংক্রমণ যাতে আরও বেশি করে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্যে টানা ২১ দিনের লকডাউন পালন করছে গোটা দেশ। অনেকেই বলছিলেন যে ১৪ এপ্রিলের পর আরও বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ। যদিও সোমবারই কেন্দ্রের তরফ থেকে ওই জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয়।

"এই জাতীয় খবর দেখে আমি অবাক হয়েছি, আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই", জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা।

"গো করোনা গো", লকডাউনে ঘরে বসে এই মন্ত্রই জপ করছেন মাননীয় মন্ত্রীমশাই!

এদিকে লকডাউন পরিস্থিতির জেরে স্তব্ধ গোটা ভারত। চলছে না ভারতীয় রেল সহ অন্যান্য পরিবহণ। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণে ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার জানা গেছে, অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন সামগ্রী পরিবহণেও ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। রবিবারই রাজ্যগুলোকে পাঠানো চিঠিতে এই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। একই নিয়ম প্রযোজ্য কেন্দ্রশাসিত এলাকাতেও। এদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাঙালির ঘরে ঘরে মাছ পৌঁছে দিতে অনলাইনে মাছ কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.