কলকাতা:
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে যে হিংসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রায় আট জন মানুষ মারা যান এবং প্রায় 50 জন আহত হন। আইনি যুদ্ধ শেষ করে সম্মুখ সমরে উত্তীর্ণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে "Trinamool terror" বলে অভিহিত করেছে। কয়েকটি স্থানে ভোটকেন্দ্রে জানানো হয়, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি পায়নি। নির্বাচনের আগে তৃণমূল প্রার্থীরা 34 শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় - এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তারফলে ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। 17-ই মে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।
প্রথম মৃত্যুর খবর উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা থেকে, নন্দীগ্রাম থেকে শেষ, তৃণমূল বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু, যা রাজ্য রাজনীতিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি করে চলেছে, এমনটাই দাবি করেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, নিহতদের মধ্যে দুজনই দলীয় সমর্থক।
উত্তর বঙ্গের কোচবিহার জেলার শুকতাবাড়ি-তে একটি ভোটকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় কুড়িজন। তৃণমূলের প্রার্থীরাও আহত হয়েছে, একজন মহিলা গুরুতর আহত হন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে দীনহাটায় ভোটাররা আহত হয়েছে।
বর্ধমান জেলায়, তৃণমূল কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপি-র পক্ষ থেকে। দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানায়, সিপিএম অভিযোগ করে যে দলের কর্মী ও তার স্ত্রীকে তাদের বাড়ির ভিতরে বন্দি করে, বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে । উত্তর 24 পরগনার বাগদা এলাকায় দুর্বৃত্তরা একটি ভোটকেন্দ্রে হামলা করে এবং ব্যালট পেপার ধ্বংস করার চেষ্টা করে এমনি অভিযোগ সামনে এসেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ''আমি, সকাল থেকে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা নিয়ে অবাক হইনি, কারণ আপনি বাংলার সরকার থেকে কোন ধরনের সাংবিধানিক আচরণ আশা করতে পারেন না।'' তিনি বলেন, ''আমি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করছি।'' এই নির্বাচনে পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানান যাচ্ছে।তবে তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নির্বাচন পদ্ধতি 'শান্তিপূর্ণ ভাবেই' শেষ হয়েছে।