West Bengal: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারা দেশের মতো বিক্ষোভ ছড়ায় পশ্চিমবঙ্গেও (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- ক্রমশ থিতিয়ে আসছে বিক্ষোভের আঁচ, শান্ত হচ্ছে বাংলা
- নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয় পশ্চিমবঙ্গ
- তবে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অনেকটাই শান্ত রাজ্যের পরিস্থিতি
কলকাতা: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে এ রাজ্যে। শুক্রবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি শান্ত, নতুন করে কোনও বিক্ষোভ-আন্দোলনের খবর মেলেনি। যদিও আজই (শুক্রবার) একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সমাবেশ রয়েছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন স্থানে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়াও রাজ্যে যে কোনও রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তারা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল। লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে চরম হয়রানির মুখে পড়তে হয় রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। গত ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি। প্রতিবাদ-আন্দোলন সহিংস বিক্ষোভের রূপ পায়। এদিকে এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি, কোনওটারই প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই দুইয়ের প্রতিবাদে কলকাতার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভাও করেন তিনি (Mamata Banerjee)।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল বোমা! গ্রেফতার ২
এদিকে রাজ্যে সহিংস বিক্ষোভের কারণে পূর্ব রেলের বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে হয়, ফলে ভোগান্তির শিকার হন বহু যাত্রী। যদিও বর্তমানে বিক্ষোভের রেশ থিতিয়ে আসায় ধীরে ধীরে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ এবং অসমের রেল পরিষেবা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে।
'প্রতিবাদ থামান, শীর্ষ আদালতের কথা শুনুন': নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্য সরকার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমার পাশাপাশি হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট সেবা ফের চালু করার অনুমতি দিয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট ও বারাসত মহকুমায় পুরোপুরি ইন্টারনেট সেবা চালু করা যাবে কিনা তা নিয়ে জলদিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরির কারণে এবং জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্ট ও গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গোটা রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, দেখুন ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)