পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে করোনা ভাইরাস। শুক্রবার এরাজ্যে (West Bengal) আরও ১,১৯৮ জন নতুন করে ওই রোগে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন, যা এখনও পর্যন্ত বাংলায় দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে সর্বোচ্চ। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে কড়া লকডাউন জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে বসবাসকারী মানুষজন ঘরবন্দি, বন্ধ রয়েছে এলাকার দোকানপাটও। রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত ২৭,১০৯ জন। এদিকে একদিনের মধ্যেই আরও ২৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর ফলে রাজ্যে এই রোগে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮০ জনে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যে মোট ৪৬৩ টি এলাকাকে কনটেইমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউন! শুনশান রাস্তা কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায়
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ২০ টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা কনটেইনমেন্ট জোনগুলি পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় চলে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আপাতত ৭ দিনের জন্যে ওই এলাকাগুলোতে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে, পরে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনার থাবা এবার টলিউডে! সপরিবারে সংক্রমিত কোয়েল মল্লিক, টুইট অভিনেত্রীর
কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে যাতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা যায় তাই এলাকাগুলোকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। চলছে পুলিশি টহলদারী। একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলোই চলাচল করতে পারছে সেখানে। তবে কিছু অঞ্চলে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্যে দিনে ৪ ঘণ্টা দোকান-বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে মুদি দোকান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলোতে দীর্ঘ লাইনে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দুই ২৪ পরগনার ১৪৭টি, কলকাতায় ২৫টি আর হাওড়ায় ৫৬টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোন আর বাফার জোনকে একত্রিত করে একটা বড় অংশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই এলাকায় চলছে শাটডাউন।
এদিকে রাজ্যের মতোই গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের দাপট চোখে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭৪৮৪ জন সংক্রমিত। এই সংখ্যা ধরে শুক্রবার পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিত ৮,০১,২৮৬। ভারতে করোনা সংক্রমণ ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষে পৌঁছতে মাত্র ৩ দিন সময় নিয়েছে।