This Article is From Mar 24, 2020

রাজ্যে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা, রাস্তা অবরোধ

Coronavirus: দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে, গোটা দেশে চলছে লকডাউন

রাজ্যে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা, রাস্তা অবরোধ

West Bengal: রাজ্যে প্রথম মৃত ব্যক্তির দেহ নিতে অস্বীকার আত্মীয়ের, পরে সৎকার নিয়েও জটিলতা (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে জটিলতা
  • প্রাথমিকভাবে তাঁর দেহ নেওয়ার মত কোনও আত্মীয়ের সন্ধান মেলেনি
  • পরে সরকারি তৎপরতায় দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে
কলকাতা:

রাজ্যে (West Bengal) প্রথম করোনা-মৃত্যু (Coronavirus) ঘিরে নানা টালবাহানা। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপর থেকে নানা জটিলতা শুরু হয় তাঁর দেহ সৎকার (Cremation) নিয়ে। প্রথমত ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নেওয়ার মতো কোনও আত্মীয়েরই সন্ধান মেলেনি। কারণ মৃতের স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। ফলে পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি ওই ব্যক্তির দেহ নেওয়ার জন্যে। তারপর তাঁর স্ত্রীর সম্মতিতে মৃতকে দাহ করার জন্যে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রাথমিকভাবে শববাহী গাড়ি না মেলায় দেরি হয়। শেষপর্যন্ত কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে একটি শববাহী গাড়িতে করে বিধাননগর পুলিশের সহায়তায় এবং কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাতে নিমতলা মহাশ্মশানে পৌঁছয় ওই ব্যক্তির দেহ। 

করোন‌া ভাইরাসের প্রকোপে প্রথম মৃত্যু কলকাতায়, ছিল না বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস: সূত্র

কিন্তু শ্মশানে পৌঁছনোর পরেও আরেক বিপত্তি। সংক্রমিত ব্যক্তিকে কেন ওই এলাকা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এই যুক্তিতে নিমতলা এলাকার স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগে তাঁদের বোঝানোর জন্যে যে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেই করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দেহ শ্মশানে নিয়ে আসা হয়েছে।  কলকাতা পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্তা বলেছেন, "আমাদের ওঁদের বোঝাই যে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ধরণের দেহ আনতে যা যা নিয়ম মানতে হয় তার সবই মানা হয়েছে, সুতরাং এর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই, তাই ভয় পাওয়ারও কোন কারণ নেই।"

স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একে তো মরদেহ হস্তান্তর করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তার উপর আবার শ্মশানে দাহকার্য নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। সব মিলিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় করোনা ভাইরাসে মৃত ওই ব্যক্তির দেহটি। 

৩০ রাজ্যেই পুরোপুরি লকডাউন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭০ পার : ১০টি তথ্য

উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদমের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্বর ও শুকনো কাশির উপসর্গ সমেত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে, এরপর তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। 

এদিকে দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জন নতুন রোগীর খবর এসেছে। সোমবার দু'জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার আক্রমণে, তার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের এবং অন্যজন হিমাচল প্রদেশের। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.