কলকাতা: সাল ২০০১। অভিনয়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন তাপস পাল। ‘দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জহুরি চোখ চিনে নিতে ভুল করেনি ‘দাদার কীর্তি'র ‘কেদার'। নিষ্পাপ হাসি, চোখে-মুখে চুঁইয়ে পড়া সারল্য নিয়ে দুই দশকের বাংলা ছবির সহজিয়া অভিনেতার ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ওই বছরেই আলিপুর কেন্দ্র থেকে তাপস প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৯-এ ‘সাহেব' অভিনেতা ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে অনায়াসে তৃণমূল সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪-তেও তাপসের জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। একসময় দিদির খুব কাছের জন হিসেবে পরিচিত সেই সাংসদের মাত্র ৬১ বছরে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে শোকপ্রকাশ করে স্মৃতিচারণা করেন মমতা।
দেখুন টুইট
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত শোকবার্তায় মমতা লেখেন, ‘‘বাংলা ছবির তারকা অভিনেতা তাপস পাল নেই। ভোরে এই খবর জানার পরেই মর্মাহত। মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। রাজনীতিতে তাপসের অবদান ভোলার নয়। ওঁর অকাল প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সমবেদনা জানাই তাপসের স্ত্রী নন্দিনী, মেয়ে সোহিনী পালকে।‘‘
চলে গেলেন তাপস পাল, ৬১-তে স্তব্ধ 'দাদার কীর্তি'
তিনি তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘‘দাদার কীর্তি', ‘সাহেব', ‘ভালোবাসা ভালোবাসা', ‘অনুরাগের ছোঁয়া', ‘অমর বন্ধন'-এর মতোঅসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সে সবই আজ স্মৃতি। প্রসঙ্গত, ২০১২-য় অভিনেতার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের জন্য সম্মান জানিয়ে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার জানায় রাজ্য সরকার। এ ছাড়া, তাপস ফিল্ম ফেয়ার ও কলাকার পুরস্কারও পান। তাপস পালের অভাব মেটার নয়, শোকবার্তায় সেকথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।