করোনা ভাইরাস ও তার জেরে জারি হওয়া লকডাউন (Coronavirus Lockdown), সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (School) বহুদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। যদিও আগামী ৩০ জুনের পর থেকে কলকাতা (Kolkata) সহ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলো খোলার কথা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আপাতত ১ জুলাই থেকে রাজ্যের স্কুলগুলো খোলা হলেও বিকল্প দিন হিসাবে ক্লাসের সূচি তৈরি করে পঠনপাঠন চালানো হবে। অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর একদিন ক্লাসে যোগ দেওয়ার কথা বলা হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব জারি রাখতেই ওই বিকল্প দিন হিসাবে ক্লাস চলার কথা ঘোষণা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলিকে একটি "বিকল্প মডেল" অনুসরণ করতে বলা হবে এবং সমস্ত বিভাগকেই সামাজিক দূরত্বের নিয়মটি মেনে চলতে হবে। এই "বিকল্প মডেল" সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর বিস্তারিত বিবরণ পরে জানানো হবে। তবে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিকল্প মডেল বলতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট দলে ভাগ করে একদিন অন্তর একদিন করে ক্লাস করানো হবে।
আমফানের তাণ্ডবের জের, রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা
তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মত করে ক্লাসের সময়সূচি নির্ধারণ করতে পারে। তবে মন্ত্রী এমন ইঙ্গিতও দেন যে, তিনি আশা করছেন একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বিকল্প দিনেই ক্লাস করানোর পথে হাঁটবে পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি স্কুলগুলোও। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "যদি দেখা যায় একটি সরকারি বিদ্যালয় এবং একটি বেসরকারি বিদ্যালয় একই এলাকায় পাশাপাশি অবস্থিত, তবে একই নিয়ম দিই ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা উচিত, কারণ একই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের কোভিড সংক্রমণকারী হিসেবে দেগে দেওয়া অন্যায়: রাজ্যপালের খোঁচা রাজ্য সরকারকে
গত বুধবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেন যে সরকারি বিদ্যালয়গুলো ১০ জুনের পরিবর্তে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে, ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককেই হয়তো করোনা সংক্রমিত সন্দেহে কোয়ারান্টাইন করে রাখতে হবে। সেইজন্যেও বেশ কিছু স্কুলের ভবনগুলোকে আপাতভাবে কোয়ারান্টাইন সেন্টার বানানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান শিক্ষামন্ত্রী।
পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান যে, উচ্চমাধ্যমিকের যেকটি পরীক্ষা বাকি আছে তা পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাইয়েই সম্পন্ন করা হবে। তবে প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র বদলও হতে পারে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যতটা সম্ভব কাছাকাছি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র করা যায়। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।