This Article is From Jun 12, 2020

স্কুলের পড়ার বইয়ে ‘কুৎসিত’ শব্দের অর্থ বোঝাতে কালো মানুষের ছবি! বরখাস্ত ২ শিক্ষিকা

West Bengal: ঘটনায় বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ২ শিক্ষিকাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর

স্কুলের পড়ার বইয়ে ‘কুৎসিত’ শব্দের অর্থ বোঝাতে কালো মানুষের ছবি! বরখাস্ত ২ শিক্ষিকা

Bardhaman Municipal Girls High School: স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • রাজ্যের একটি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে কুৎসিত বলতে বোঝানো হল কালো মানুষকে
  • এই বর্ণবিদ্বেষমূলক বার্তার সমালোচনায় সরব সকলে
  • স্কুলের পাঠ্যবই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ২ শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হল
কলকাতা:

এবার গায়ের রঙ নিয়ে ভেদাভেদ করার অভিযোগ উঠল স্কুলের পড়ার বইয়েও। গায়ের রঙ সাদা বা ফর্সা হওয়া মানেই সেই মানুষটি সুন্দর এবং কালো রঙের মানুষ মানেই সে কুৎসিত, এমন বার্তা দেওয়া বই পড়ানো হচ্ছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে, এই অভিযোগ পেয়েই খোঁজখবর করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবার ওই স্কুলের ২ শিক্ষিকাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করলো রাজ্যের (West Bengal) শিক্ষা দফতর। দেখা যায়, ওই স্কুলে (Bardhaman Municipal Girls High School) যে পাঠ্যবই, তাতে ‘কুৎসিত' শব্দের অর্থ বোঝাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যা জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবকরা। তারপরেই বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে তৎপর হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজ্যের ভাইরাল ভিডিও-কে ''নির্মম'' বলে আখ্যা দিলেন রাজ্যপাল

তবে স্কুলে যে এমন একটি বর্ণবিদ্বেষমূলক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সেটা প্রচারের আলোতে আনে সংবাদমাধ্যমই। তাই এমন একটি বিষয় প্রচারের আলোয় নিয়ে আসায় সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

২৪ ঘণ্টায় ১০,০০০ পেরিয়ে গেল করোনা রোগীর সংখ্যা, মৃত ৩৯৬

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই বইটি রাজ্য সরকার অনুমোদন করেনি। স্কুলের শিক্ষকরাই রেফারেন্স বই হিসেবে ওই বইটিকে বেছে নিয়েছিলেন। ঘটনায় দুই শিক্ষককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে"। জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষিকার নাম শ্রাবণী মণ্ডল এবং বর্ণালী দাস। তবে ইতিমধ্য়েই ওই বইটি বাছার জন্যে ভুলস্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন তাঁরা। ‘চাইল্ডস স্টাডি' নামে ওই বইটি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়ানো হত। 

ওই স্কুলে যে ছাত্রীরা পড়ছে তাঁদের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং অবিলম্বে বইটি প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন।

.