হাইলাইটস
- দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেশবিরোধী কিছু দেখানো যাবে না, কেন্দ্রের নির্দেশ
- নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন
- সরকারের সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে, বলেন তিনি
নয়া দিল্লি: দেশের রাজধানীতে দাঁড়িয়ে এবার দিল্লির মোদি সরকারকে তীব্র বাক্যবাণে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ (TMC MP) ডেরেক ও'ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় সরকার যে ধরণের নিয়ম জারি করছে তাতে যেন মনে হচ্ছে “দেশে দ্বিতীয় জরুরি অবস্থা চলছে”, বলেন তিনি (Derek O'Brien)। বৃহস্পতিবারই দেশ জোড়া বিক্ষোভ উপেক্ষা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করেছে কেন্দ্র (Central Govt)। কিন্তু তারপরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। ত্রিপুরা এবং অসমের পর এখন সিএবি বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে মেঘালয়েও। কিন্তু এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেশবিরোধী কোনও কিছু দেখানো যাবে না। আর এই নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই পোড়খাওয়া সাংসদ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে হওয়া বিক্ষোভ তথা হিংসাত্মক ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই তা ধামাচাপা দিতে ওই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেরেক বলেন, দেশে ২ ধরণের সংবাদমাধ্যম রয়েছে। একটি মেরুদণ্ডযুক্ত এবং অন্যটি মেরুদণ্ডহীন। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে মেরুদণ্ডযুক্ত সংবাদমাধ্যমগুলির মুখ বন্ধ করতে। সমালোচনা শুনতে পারে না মোদি সরকার, এমন অভিযোগও করেন ওই তৃণমূল সাংসদ।
ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, কেউ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাঁকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কেউ নোটবন্দির বিরোধিতা করলে তাঁকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এনআরসির বিরোধিতা করতে তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে। এমনকি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও প্রতিবাদকারী দেশদ্রোহী হয়ে যাচ্ছেন। সত্যিই কি বিরোধিতা করা মানেই দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা?, প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।
নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সরকার সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করবো তাঁরা যেন বলব নির্ভয়ে কাজ করেন”। কেন্দ্রীয় সরকার আসলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে, অভিযোগ ডেরেক ও'ব্রায়েনের।
দেখে নিন এই ভিডিও: