Supreme Court: নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
হাইলাইটস
- নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
- সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্রের আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট
- বৃহস্পতিবারই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি
নয়া দিল্লি: সবেমাত্র বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মতি পেয়ে আইনে (Citizenship Act 2019) পরিণত হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি। এবার সেই নাগরিকত্ব আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই আইনটি (Citizenship Amendment Act) অসাংবিধানিক,তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক দেশের শীর্ষ আদালত, এই যুক্তিতে মামলার জরুরি শুনানির আবেদন করেন তিনি। মৈত্রের (Mahua Moitra) আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টকে বলেন যে হয় মামলার শুনানি শুক্রবারই হোক নয়তো ১৬ ডিসেম্বর শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করা হোক। যদিও সূত্র মারফৎ খবর, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের করা মামলাটি শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) গৃহীত হলেও জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেল নাগরিকত্ব বিল, পরিণত হল আইনে
বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলে সেটি আইনে পরিণত হয়। আইনানুযায়ী, ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সমস্ত অ-মুসলিমরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ভাবা হবে না, বরং তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সোমবার বিলটি লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের কথা অনুযায়ী, নাগরিকত্ব বিলটি প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের প্রতিরক্ষার জন্যেই আনা হয়েছে।
যদিও এই বিলটি নিয়ে উত্তর-পূর্বে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার অসমে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় । বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দু'জন মারা যায়। পাশ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ের কিছু অংশেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে, ফলে সেখানেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।
"আমার রাজ্যে নয়": নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৩ মুখ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন জেলা হওয়ায় অসমের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আইনটি লাগু হলে অন্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা সহজেই এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন, আর সংকটে পড়বেন এ দেশের আদি বাসিন্দারা।
পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির যুক্তি এই যে, নতুন আইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হ'ল এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিক-সুরক্ষা না দেওয়ায় লঙ্ঘিত হবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান।
দেখে নিন এই ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)