বিজেপির হাত থেকে ফের Naihati Municipality নিজেদের দখলে নিল শাসক দল (ফাইল ছবি)
কলকাতা: নৈহাটি অঞ্চলে আজ (বুধবার) শুধুই উড়ছে সবুজ আবির। কেননা বুধবার আস্থা ভোটে জয় পেয়ে বিজেপির হাত থেকে নৈহাটি পুরসভার (Naihati Municipality) নিয়ন্ত্রণ ফের নিজেদের হাতে নিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত ৩১ সদস্যের নৈহাটি পুরসভায় হওয়া আস্থা ভোটে আজ (বুধবার) ২৪-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে ঘাসফুলের দল (TMC)। জানা গেছে মোট ৩১ জন সদস্যের মধ্যে বাকি ৭ কাউন্সিলর এই ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে ক্রমশই এ রাজ্যে নিজেদের জমি শক্ত করতে শুরু করে বিজেপি। এই রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে মোট ১৮ টি আসন নিজেদের দখলে নেয় তাঁরা। রাজ্য জুড়ে ফের প্রবল হয় গেরুয়া ঝড়। তারই ফলস্বরূপ নৈহাটি পুরসভার ১৭ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ঘাসফুলের দল ছেড়ে পদ্মফুলের (BJP) আশ্রয়ে আসেন। ফলে স্বভাবতই সেই সময় নৈহাটি পুরসভা হাতছাড়া হয় শাসক দলের।
“গ্রামের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে আমাদের সরকার”: মুখ্যমন্ত্রী মমতা
উত্তর ২৪ জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করে ওই পুরসভার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে সেখানে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হলে ওই পুরসভায় আমরাই ফের বিজয়ী হব"।
রাজনীতিতে যে কখন কীভাবে হাওয়া বদলাবে তা কেউ বলতে পারে না। লোকসভা নির্বাচনের পরপরই যে ১৭ জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, গত অগাস্টে তাঁদের মধ্যে থেকেই আবার ১০ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসেন। রাজ্য সরকার মে মাসে নাগরিক সংস্থার তদারকির জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ করেছিল। নৈহাটি পুরসভা নিয়ে ডামাডোলের সময় রাজ্য সরকার গত মে মাসে ওই নাগরিক সংস্থার তদারকির জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ করে।
রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাওয়া : মুকুল রায়
২০২১ এ এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, দুই দলই একে অপরের শক্তি মেপে নিতে চাইছে। সেই সময় নৈহাটি পুরসভা ফের নিজেদের দখলে নিয়ে এসে ফের বাংলার রাজনৈতিক আকাশে সবুজ আবিরের আধিপত্য় বুঝিয়ে দিলে তৃণমূল কংগ্রেস।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)