This Article is From Mar 25, 2020

কেন্দ্রের থেকে ১,৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সল্টলেকে পুলিশের সঙ্গে এক যুবতীর বচসা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের গাড়ি আটকালে পুলিশকে কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই তরুণী

কেন্দ্রের থেকে ১,৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের থেকে ১৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)

কলকাতা:

করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশজুড়ে ২১দিনের লকডাউন (Lockdown) জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার লকডাউনের প্রথম দিনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়া রাস্তাঘাট ছিল শুনশান, তবে কিছু এলাকায় দোকানে ভিড় চোখে পড়ে। লকডাউনের কারণে, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি কিনে রাখা হিড়িক পড়ে যায়। ফলে ভিড় ঠেকাতে পদক্ষেপ করে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের থেকে ১৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় দোকানে ভিড় লেগে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি কিনতে, ফলে সেখানে লঙ্ঘিত হয় লকডাউনের নিয়ম। অতিরিক্ত এলপিজি গ্যাস মজুত করতে  সেখানেও লাইন পড়ে যায়। বেশ কিছু এলাকায় অহেতুক ক্রেতাদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যেসমস্ত এলাকায় রাস্তায় মানুষের জটলা করতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের ঘরে ফিরে যেতে বলা হয়।

চলছে ২১ দিনের লকডাউন, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরলো: ১০টি তথ্য

সল্টলেকে পুলিশের সঙ্গে এক যুবতীর বচসা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের গাড়ি আটকালে পুলিশকে কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই তরুণী, তাঁকে পরে গ্রেফতার করা হয়।

বীরভূম ও বর্ধমানে, ভিড় বাজার থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। কিছু এলাকায়, অনেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম না মানায়, দোকান বন্ধ করে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাডি বাড়ি গিয়ে  মানুষকে বাইরে বের হতে বারণ করতে দেখা যায় পুলিশকে। পাশাপাশি মুদি, এলপিজি, খাদ্যসামগ্রির জোগানের আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁদের। 

.সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের, তাঁদের দোকানের বাইরে এক মিটার দূরত্বে গণ্ডি কেটে সেখানে দাঁড়াতে বলা হয় রাজ্যের নির্দেশ মেনে। স্থানীয় প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে পরিষেবায় ব্যাঘাতের অভিযোগ করেন বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ অনলাইন সংস্থা।

২১ দিনের লকডাউন! ওয়ার্ক ফ্রম হোমে মজে বাংলার রাজনীতিবিদরাও

পুলিশের পদক্ষেপের কারণে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাল কিনতে অনলাইনের ওপর ভরসা করছেন মানুষ। অন্যান্য সামগ্রিক জোগান বন্ধ হবে না। মাঠে কর্মরত কৃষকরা দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন, তাঁদের কাজ করতে না দেওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।  তিনি জানান, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের কিছু বিষয় নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ৩১ মার্চের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের কোল্ডস্টোরগুলিতে শ্রমিকরা লকডাউনের কারণে বাড়ি চলে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে, ফলে মাল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

\বেশিরভাগ রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর ছিল ফাঁকা। রাস্তা দেখা গিয়েছে পুলিশের গাড়ি এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু্ক্ত গাড়ি। রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাতেই মেলেনি খবরের কাগজ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.