Coronavirus: নিজের বাইকের পিছনে বসিয়ে এক কোভিড লক্ষণযুক্ত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন তৃণমূল নেতা
হাইলাইটস
- এক করোনা রোগীকে বাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন তৃণমূল নেতা
- ঝাড়গ্রামের এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
- অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় পিপিই কিট পরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান ওই নেতা
ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে (Jhargram) করোনা লক্ষণযুক্ত এক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছনোর জন্য কোনওভাবেই অ্যাম্বুল্যান্সের জোগাড় করতে না পেরে যখন মাথায় হাত তাঁর পরিবারের, ঠিক সেই সময় ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে এলেন এক তৃণমূল (TMC) নেতা। গোপীবল্লভপুরের (West Bengal) তৃণমূল যুব শাখার সভাপতি সত্যকাম পটনায়েক নিজে একটি পিপিই কিট পরে নিয়ে বাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন ওই রোগীকে। ওই তৃণমূল নেতা জানান যে, তিনি তাঁর দলের অন্য় কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে সম্প্রতি গ্রামে ফিরে আসা অমল বারিক নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু তাঁর পরিবার কোনওভাবেই ওই কোভিড লক্ষণযুক্ত রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স বা কোনও অন্য় গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তিনি করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত এই সন্দেহে আশেপাশের কেউই ওই পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। ঠিক এই সময় ত্রাতা হন ওই তৃণমূল নেতা। নিজেই বাইকে করে ওই রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি।
"এই খবর জানার পরেই আমি দু'জন দলীয় কর্মীকে বাইকের ব্যবস্থা করতে বলি এবং ছুটে গিয়ে একটি ফার্মাসি থেকে গিয়ে পিপিই কিট কিনে আনি। তারপর আমি সিজুয়া গ্রামে ওই রোগীর বাড়িতে যাই", বলেন পট্টনায়েক। "বারিকের স্ত্রী এবং তাঁর দুই সন্তান তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে খুবই বিচলিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বারবার তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু আমি তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করে রোগীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে গোপীবল্লভপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই", বলেন ওই তৃণমূল নেতা।
জানা গেছে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা অমল বারিককে পরীক্ষা করে কিছু ওষুধ লিখে দেন এবং তাঁকে বাড়িতে আইসেলোশনে থাকতে বলেন। তারপর ওই তৃণমূল নেতা ফের রোগীকে বাইকে বসিয়ে হাসপাতাল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেন।
সত্যকাম পটনায়েকের পিপিই কিট পরে বাইক চালানো এবং অমল বারিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেকথা জানতে পেরে ওই নেতা বলেন, "আমি এই মহামারীর মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি আবারও দরকার হলে একই কাজ করবো। সেই জন্য আমি আরও চারটি পিপিই অর্ডার দিয়েছি।"
ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল মুখপাত্র উমা সোরেন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, দলের যুবকর্মীরা মানুষের সহায়তায় সবসময় প্রস্তুত রয়েছেন। "কোনও প্রয়োজন হলে মানুষের উচিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, আমরা তাঁদের পাশে থাকবো", একথাও বলেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)