বুধবার এক ভিডিও বৈঠকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। (ফাইল)
দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) পরিস্থিতিতেও বর্তমান শ্রমিক আইনে (Labour Law) কোনও পরিবর্তন আনতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। বুধবার একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই ধরনের পরিবর্তন করে কর্মীদের বিপদের মধ্যে ঠেলে ফেলা হচ্ছে বলেও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মেনে নেন কোভিড-১৯-এর কবল থেকে সহজে পরিত্রাণ মিলবে না। তাই রাজ্যের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে গ্রামীণ বাংলার পরিকাঠামো মজবুত করতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে হয় শ্রমিক আইন স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে অথবা তাকে বিকৃত করা হচ্ছে। ওই সব রাজ্যে কাজ করা কর্মী ও শ্রমিকরা বেশি কাজ করে কম বেতন পান। তাঁদের কাজের কোনও নিশ্চয়তা নেই।''
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এক ভিডিও বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এটাকে সমর্থন করি না এবং এমন কোনও পদক্ষেপ করবও না। আমরা বর্তমান শ্রমিক আইন মেনে চলব এবং যে পরিযায়ী শ্রমিকরা এখানে ফিরছেন তাঁদের কাজের বিষয়টি নিশ্চিত করব। সরকার তাকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ দিতে পারে।''
মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে শ্রমিক আইন স্থগিত করেছে। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি মনে করি রাজ্যের অর্থনীতি নির্ভর করছে গ্রামীণ বাংলার উপরে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে হবে। আগামী দিনে গোটা দেশেরই রোডম্যাপ হতে চলেছে এটা।''
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা এটাকে অতিক্রম করব। কিন্তু জীবন এই অসুখের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।''
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ লাগাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘‘লকডাউনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। গণ্ডগোলে জড়িয়ে থাকলে কাউকে ছাড়া হবে না।''
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হুগলিতে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে বলেন আগামী বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ দমনের বিষয়েও।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)