This Article is From Dec 01, 2019

অস্ত্রোপচারের পরেই একচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তরুণ, অভিযোগ পরিবারের

Youth loses vision: ওই তরুণের চোখের মধ্যে একটি ভাঙা লোহার পেরেক ঢুকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর চোখের কর্নিয়া, তারপরেই অস্ত্রোপচার করাতে হয়

অস্ত্রোপচারের পরেই একচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তরুণ, অভিযোগ পরিবারের

Baruipur: চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হয়েছে এক তরুণকে, অভিযোগ তাঁর পরিবারের (প্রতীকী ছবি)

কলকাতা:

চিকিৎসকের ভুলেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তরুণ, এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো বারুইপুরে (Baruipur)। জানা গেছে, ওই তরুণের চোখের মধ্যে একটি ভাঙা লোহার পেরেক ঢুকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর চোখের কর্নিয়া। তারপরেই অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে তিনি ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন (Youth loses vision) বলে জানা গেছে। তরুণের দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসাকেন্দ্রের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরের (West Bengal) বাসিন্দা ২৩ বছরের রাজা নস্করকে গত সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার আঞ্চলিক চক্ষু গবেষণা কেন্দ্রে (আরআইও) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকদের মতে, ওই তরুণের ডান চোখের সংক্রমণটি এত মারাত্মক ছিল যে অন্য চোখের সুরক্ষার জন্য চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে সেটির অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। কলকাতা আরআইওর নির্দেশক অসীম কুমার ঘোষ বলেছেন, সংক্রমণ রোধের জন্যে চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। জানা গেছে, একটি ছাপাখানায় কাজ করার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে, যার ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই তরুণের ডান চোখের কর্নিয়া।

"যুবকের চোখের কর্নিয়াটি ফেটে যায় এবং আমরা রেটিনার কারণে তাঁর চোখের যে কতটা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা আন্দাজ করতে পারিনি। এদিকে রাতের বেলা এই ধরনের সার্জারি করাও যায় না কারণ এ  ক্ষেত্রে আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি  এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার দরকার পড়ে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গুর শিকার ২, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫

ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ শনিবার বলেন, "আমাদের চিকিৎসকরা চোট থেকে চোখে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ আটকাতে সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেন এবং তরুণের চোখের ভিতরে থাকা পেরেকের ভাঙা টুকরোটি সনাক্ত করার জন্য ইউএসজির পরামর্শ দেন" ।

তরুণের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য দাবি করেছেন যে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের আলট্রাসোনোগ্রাফি (ইউজিসি) বিভাগটি সেদিন বন্ধ ছিল এবং চিকিৎসকরা তাঁদের পরের দিন আসতে বলেন। "আমরা পরের দিন (মঙ্গলবার) ওঁকে নিয়ে আরআইওতে যাই এবং ইউএসজি করা হয়। আমরা চিকিৎসকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা হয় বুধবার"।

Dengue 2019: ডেঙ্গি কি আদৌ আতঙ্কের ! কী পরামর্শ চিকিৎসকের?

"এমনকি বুধবারও দেখা যায়, চিকিৎসকরা গড়িমসি করছেন, তার ফলে আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়", বলেন দৃষ্টি হারানো তরুণের বাবা । তিনি দাবি করেন যে অস্ত্রোপচারের পরেও তাঁর ছেলের সমস্যা না মেটায় চিকিৎসকরা ডান চোখ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ওই তরুণের বাবা বলেন, "আরআইও-তে চিকিৎসকদের অবহেলাই এই ঘটনার জন্যে দায়ী । তাঁরা অস্ত্রোপচারে দেরি করেছিল এবং সেই কারণেই আমার ছেলেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হলো"।  তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার কথা জানিয়ে ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

যদিও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয় চোখে মারাত্মকভাবে সংক্রমণ হওয়াতেই তাঁর চোখ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, না হলে সংক্রমণ মাথাতেও ছড়িয়ে যেতে পারতো। পরিবারের সম্মতিক্রমেই ওই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।

জেনে নিন দেশের খবর:



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.