COVID -19: করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্যে বিস্তর আয়োজন রাজ্য সরকারের (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবার কাজ করবে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে
- বৃহস্পতিবার থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করবে হাসপাতালটি
- ওই হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্যে বরাদ্দ মোট ৫০০ টি শয্যা
কলকাতা: গোটা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (Coronavirus) সংখ্যা, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এবার তাই রাজ্যের (West Bengal) করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল কলকাতা মেডিকেল কলেজকে পুরোপুরি "কোভিড স্পেশালিস্ট" (COVID -19) হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৭ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে মেডিকেল কলেজ রাজ্যের পূর্ণসময়ের কোভিড হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্যে বরাদ্দ ৬৮ তম হাসপাতাল হচ্ছে সেটি। এর আগে গোটা রাজ্যে ৬৭ টি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছিল করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের। রাজ্য সরকারের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে ৫০০ শয্যা (COVID- 19 ও SARI দুই ধরণের রোগীদের জন্য) নিয়েই বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ। পরবর্তী সময়ে করোনা পরিস্থিতির বিচার করে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের বেড আরও বাড়ানোর কথা বিবেচনা করা হতে পারে।
রাজ্যের মেডিকেল বুলেটিনে "বড়সড় গড়মিল" আছে, অভিযোগ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের
এতদিন পর্যন্ত রাজ্য করোনা রোগীদের জন্যে মোট ৮০৩৬ টি বেড বা শয্যা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু মেডিকেল কলেজ কোভিড হাসপাতাল হিসাবে কাজ শুরু করলে সেই শয্যা সংখ্যা একলাফে বেড়ে হবে ৮৫৩৬ টি। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালও সম্পূর্ণ রূপে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যে বর্তমানে ২৭১ টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট ১৪৫৬ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে শুধুমাত্র ৩০ জন রোগীর ভেন্টিলেটর সহায়তার প্রয়োজন পড়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্যে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ৮৬০ টি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার জন্যে দায়ী কেন্দ্রের অদূরদর্শিতাই, বলল তৃণমূল
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে চায় রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে, এখনও পর্যন্ত ১৬.৫ লক্ষ পিপিই, ৭৩.৫ লক্ষ মাস্ক, ৩০ লক্ষ গ্লাভস এবং ২০,০০০ থার্মাল গান বিতরণ করেছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী করোনা টেস্ট হচ্ছে না, বারবার এই অভিযোগে বিদ্ধ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছে, রাজ্যে এখন করোনা টেস্ট করতে পারবে মোট ১৫ টি পরীক্ষাগার। তাঁর মতে, একমাস আগেও যেখানে এরাজ্যে প্রতিদিন ২৫০ টি করোনা টেস্ট করা সম্ভব ছিল, এখন থেকে সেটি বেড়ে হবে দৈনিক ২,৫০০টি। এই ১৫ টি পরীক্ষাগারের মধ্যে শিলিগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং মেদিনীপুরে একটি করে পরীক্ষাগার রয়েছে।