Coronavirus: তবে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হচ্ছেন অনেকেই
- পুনরুদ্ধারের হারে আশার আলো দেখছেন রাজ্যবাসী
- দেশে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের মোট গড় থেকেও বেশি রাজ্যে সুস্থতার হার
কলকাতা: রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করছে করোনা (Coronavirus) থেকে সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭০ শতাংশেরও বেশি করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার জাতীয়স্তরে পুনরুদ্ধারের গড়ের থেকেও এরাজ্যে (West Bengal) বেশি। তবে একথাও ঠিক যে, রাজ্যে যেসব মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা তো বটেই, এমনকী যাঁরা ওই রোগের (Covid-19) প্রকোপ কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন তাঁদেরও প্রতিবেশীদের অমানবিক আচরণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এক ব্যক্তিকে তাঁর ৭০ বছরের করোনা মুক্ত ঠাকুমাকে নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে। জানা গেছে, করোনার চিকিৎসার পর হাসপাতালে থেকে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখে দেন যে, আপাতত ওই বৃদ্ধা সুস্থ, তবে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য তাঁকে বাড়ি যাওয়ার পরেও কিছুদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
করোনা চিকিৎসায় রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোকেও কাজে লাগানো হবে: মুখ্যমন্ত্রী
বৃদ্ধাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরেই দেখা যায় পাড়া প্রতিবেশীরা ভয়ঙ্কর দুর্বব্যবহার শুরু করে ওই পরিবারের সঙ্গে। এমনকী বৃদ্ধাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আসার জন্যও জোরজুলুম করা হয়। একরকম বাধ্য হয়েই তখন বৃদ্ধার নাতি পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে, ৮৭% মৃত্যুই কোমর্বিডিটির কারণে, সাফাই সরকারের
আইসিএমআরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, যদি দেখা যা. করোনা আক্রান্ত হিসাবে ধরা পড়া কোনও রোগীর একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর শরীরে কোনও ওই রোগের লক্ষণ নেই তবে তাঁকে নতুন করে ফের করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। দীর্ঘদিন শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ না থাকলে ধরে নেওয়া যায় যে ওই ব্যক্তি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
কিন্তু এই নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী হাসপাতালগুলো কাজ করলেও সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কারণ হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় যদি রোগীর করোনা নেগেটিভ লেখা কোনও সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে তাঁর প্রতিবেশীরা তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। এমনকী বাড়ি ফিরেও সুস্থভাবে বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠছে তাঁদের।
এমনকী আশেপাশের মানুষের সন্দেহের থেকে রেহাই পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্ত কোনও চিকিৎসকও। এই যেমন, এক চিকিৎসক কোভিড পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়ার পর নিজেকে ১৪ দিনের জন্য ঘরে কোয়ারান্টাইন করে দিয়েছিলেন। তারপরও তাঁর শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি সুস্থ বলে ধরে নেওয়াই যায়। কিন্তু ওই চিকিৎসককে তাঁর সুস্থতার প্রমাণ হিসাবে নিজের আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে বাধ্য করানো হয়।