১০২ তম জন্মবার্ষিকী:স্মরণে প্রিয়দর্শিনী
নিউদিল্লি: বেঁচে থাকলে আজ ১০২ বছর বয়স হত ইন্দিরা গান্ধির (Indira Gandhi Jayanti)। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর আততায়ীর গুলি ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তাঁকে। প্রিয়দর্শিনী যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তিনি ভারতের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প এবং পদক্ষেপ করেছিলেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বলা ইন্দিরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এমন তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা বদলে দিয়েছিল দেশের ভবিষ্যত। কী সেই সিদ্ধান্ত? জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর তিন অনন্য চিন্তা---
আরও আলোচনা প্রয়োজন, বৈঠকের পর বললেন শরদ পাওয়ার
ব্যাংক জাতীয়করণ
ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর ১৯ জুলাই তিনি ১৪ টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ করেছিলেন। এতদিন এই সমস্ত ব্যাঙ্কগুলির বেশিরভাগ ছিল বড় শিল্প সংস্থার অধীনস্ত। ইন্দিরা গান্ধির বিশ্বাস ছিল, ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণ হলে দেশবাসী প্রয়োজন মতো ঋণ নিতে পারেব। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মোরারজি দেশাই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও নির্দিষ্ট দিনে পূর্বনির্ধারিত ১৪টি ব্যাঙ্কের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়েছিল কেন্দ্রের হাতে।
রাজভাতা বন্ধ
স্বাধীনতার আগে ভারতে ৫০০-রও বেশি ছোট রাজ্য ছিল। সেসময়ে প্রতিবছর সেই সমস্ত রাজ পরিবারগুলিকে রাজভাতা দেওয়া হত। রাজভাতার এই বিশেষ চুক্তি সর্দার প্যাটেল স্বাক্ষর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধি ব্যয় সঙ্কোচের জন্য রাজভাতা বাতিল করেছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে সংবিধান সংশোধনের সময় তিনি এটি বন্ধ করে দেন।
বাংলাদেশের উত্থানে ভারতের ভূমিকা
ভারত ভাগের পরে পূর্ব পাকিস্তান বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নতুন বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের মানুষদের সেইসময় নাগরিক অধিকার ছিল না। এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনির শাসনে তাঁরা দমবন্ধকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার আন্দোলনে নেমেছিলেন তখন। পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল গৃহযুদ্ধ। প্রাণ বাঁচাতে কমপক্ষে ১০ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থী আসামে শরণ নিয়েছিলেন যা দেশের অভ্যন্তরীণ এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে শেষে ভারত এই সমস্যায় হস্তক্ষেপ করেছিল। যার ফল একাত্তরের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্যকে যুদ্ধবন্দি করা হয়েছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
.