প্রশান্ত কিশোর বনাম বিজেপি। এই দ্বন্দ্ব কাটাতে এবার মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার পাটনায় সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে, বিহার রাজনীতিতে এনডিএ'র ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন। সে প্রশ্নের জবাবে নীতীশ কুমার বলেন, সব ঠিক আছে । যদিও তাতে প্রশান্ত কিশোরের বিজেপি বিরোধিতা কমবে কিনা, তা ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে, দিনকয়েক আগে রবিবার , জেডিইউর সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, আগামী বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অনেক বেশি আসনে লড়বে দল। আসন সমঝোতা হবে ১:১.৪ (1:1.4) অনুপাতে। অর্থাৎ ওদের (বিজেপি) একটা আসন, তার অনুপাতে আমাদের ১.৪টি আসন। স্বভাবতই শরিক বিজেপির ওপর চাপ বজায় রাখতে এই দাবি করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর, মত জেডিইউ সূত্রে। কিন্তু সেই মন্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়েননি সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি।
জেডিইউর সহ-সভাপতির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ ছিল, অবাস্তব মন্তব্য করে এ রাজ্যে (বিহার) এনডিএ'র ভিত আলগা করার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'ও (প্রশান্ত কিশোর) একটা ব্যবসা চালান। সে মোতাবেক লাভ করতে বাজার তৈরির চেষ্টা করেন। কিন্তু কীসে দেশের কল্যাণ, তা ওর কাছে দ্বিতীয় প্রাধান্য।'
তিনি যোগ করেছিলেন, সিদ্ধান্ত হয়ে আছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচন, এনডিএ জোট বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে লড়বে। নির্বাচনী কৌশল থেকে আসন সমঝোতা দুই দলের হাই কমান্ড বসে ঠিক করবে।' এর জবাব দিতেও ভোলেননি প্রশান্ত কিশোর। সোমবার সকালে তিনি টুইট করে বলেছিলেন, সুশীল মোদি সময়ের ফেরে উপ-মুখমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর দল, গত বিধানসভা ভোটে পরাজিত হলেও তিনি মন্ত্রী।
এদিন আবার এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেছেন, বিহারের রাজনীতিতে মুখমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর জেডিইউর ভাগ্য জনতা ঠিক করে দিয়েছেন। অন্য কোনও দল বা নেতৃত্বর দ্বারা সেই ভাগ্য ঠিক হয়নি।তাই ভোট হেরেও উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসে থাকা একজনের থেকে রাজনৈতিক সৌজন্য ও মর্যাদার পাঠ শোনা বেশ আনন্দের।