This Article is From Dec 19, 2019

রামচন্দ্র গুহকে আটক করা নিয়ে কী বললেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা

Citizenship (Amendment) Act protest: “কোনও কারণ ছাড়া পুলিশেরও আইন নিজেদের হাতে নেওয়া উচিত নয়”, রামচন্দ্র গুহের আটক নিয়ে বললেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা

রামচন্দ্র গুহকে আটক করা নিয়ে কী বললেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা

বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, রামচন্দ্র গুহকে আটক করার খবরে তিনি বিষ্মিত

বেঙ্গালুরু:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Amended Citizenship Law) বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে প্রতিবাদে, বিক্ষোভ থেকে ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহকে (Ramachandra Guha) আটক করা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa) । সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিকের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোথায়?...কারণ ছাড়া পুলিশের নিজের হাতে আইন নেওয়া উচিত নয়, আমি সত্ত্বর নির্দেশিকা জারি করব”। তিনি বলেন, “সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং যারা আইনশৃঙ্খলা ভাঙছে তাদের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয়। যদি এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। 

বেঙ্গালুরুতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় আটক করা হয় রামচন্দ্র গুহ সহ কয়েকশো মানুষকে।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এই ঐতিহাসিক, সেই সময় কয়েকজন পুলিশ আসে, এবং তাঁকে ধরে। একজনকে রামচন্দ্র গুহকে ঘুষি মারার মতো ভঙ্গিতে দেখা যায়।  

NDTV কে রামচন্দ্র গুহ বলেন, “আমি গান্ধিজির পোস্টার নেওয়া এবং সংবাদমাধ্যমে সংবিধান সম্পর্কে কথা বলায় জন্য পুলিশের হাতে আটক হয়েছি”। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতো কাজ করছে পুলিশ। আমরা এই পক্ষপাতমূলক আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি একটি সুশৃঙ্খল পথে। এখানে দেখুন, সবাই শান্তিতে প্রতিবাদ করছে। আপনারা কি কোনও হিংসা দেখতে পাচ্ছেন”? 

গত সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলটি পাস হয়ে যাওয়া পর থেকেই, বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে।

বৃহস্পতিবার দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়, বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দিল্লি ও গুরগাঁও সংযোগককারী রাস্তায় ব্যাপক ট্রাফিজ জ্যাম হয়, ফলে আটকে পড়েন বহু মানুষ। দিল্লি মেট্রোর প্রায় ১৮টি স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থান গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া সংবিধান লঙ্ঘন।

.