Read in English
This Article is From Jan 02, 2020

সাইরাস মিস্ত্রির ফেরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কী বলল টাটা

সংস্থার এক্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে ১৮ ডিসেম্বর সাইরাস মিস্ত্রিকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় NCLAT, তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় টাটা সন্স

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

কোম্পানি বিষয়ক ট্রাইবুনাল জানায়, সাইরাস মিস্ত্রির বিরুদ্ধে রতন টাটার নেওয়া পদক্ষেপ নিষ্ঠুর

গতমাসে সাইরাস মিস্ত্রিকে টাটা সন্সের এক্জিটিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে ফেরানোর রায় দিয়েছিল কোম্পানি বিষয়ক ট্রাইবুনাল, সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। তিন বছর আগে সংস্থার একটি বোর্ড মিটিং হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রতন টাটাও, সেই বৈঠকেই তিনি সংস্থার অন্তবর্তী চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, এবং সেখানেই সাইরাস মিস্ত্রিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। মামলার আবেদনে, টাটা সন্স, কোম্পানি ট্রাইবুনালের নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছে, এবং সংস্থার চেয়ারপার্সন হিসেবে এন চন্দ্রশেখরণের নিয়োগ ও নির্বাচন অবৈধ আখ্যা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে। খ্রিস্টমাসের ছুটি কাটিয়ে ৬ জানুয়ারি আদালত খুললেই যাতে দ্রুত শুনানি হয়, সেই আবেদনও জানিয়েছেন টাটা সন্সের আইনজীবী।

এখানে রইল ৫'টি তথ্য:

  1. টাটা সন্সের তরফে বলা হয়, “কোম্পানি বিষয় ট্রাইবুনালের নির্দেশ দ্রুত দেওয়া, টাটা সন্সের সরকারি ও কর্পোরেট পরিকাঠামোয় আঘাত করেছে, এর প্রতিষ্ঠাতারা ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন, গত শতাব্দী ধরে বিশ্বাসযোগ্যতা ও দায়িত্বের সঙ্গে”।
     

  2. তারা আরও বলে, “সাইরাল মিস্ত্রিকে ফেরানোর নির্দেশ দিয়ে, কোম্পানি বিষয়ক ট্রাইবুনাল গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট কর্তাদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করেছে, তারমধ্যে রয়েছে কিছু সংস্থাও”।
     

  3. টাটা সন্সের তরফে শীর্ষ আদালতে বলা হয়, “২০১৭-এর মার্চে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর পদের মেয়াদ শেষ হয়...তিনি ফেরার দাবি করেননি, অথচ এগিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে কোম্পানি বিষয়ক ট্রাইবুনাল”।
     

  4. “কোম্পানি বিষয়ক ট্রাইবুনালের আরও একটি ভুল হল, টাটা সন্স একটি ‘পাবলিক কোম্পানি' হিসেবে রয়েছে এমনকী, আইন পরিবর্তনের পরেও, সেই মতো, আরও খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, কোম্পানির রেজিস্ট্রারের পদক্ষেপ এই পরিবর্তন নিবন্ধ করা বেআইনি”।
     

  5. টাটা সন্স আদালতে আরও বলেছে, “রতন টাটা মহাশয় এবং টাটা ট্রাস্টের নমিনিকে কোনওরকম আগে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া, যার জন্য প্রয়োজন হয় বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা বার্ষিক সাধারণ সভা, তা পুরোপুরি অস্পষ্ট এবং শেয়ারহোল্ডারদের অধিকারে বাধা দেয়, ফলে তাদের সুবিধা বা অধিকার বাধাপ্রাপ্ত হয়, যা কর্পোরেট স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করে”।

  6. Advertisement
Advertisement