১৯৭০ সালে মৃতও এক তিমির গল্প শেয়ার করে ব্রিটিশ ওই সংস্থা। (প্রতীকী)
ডনকেস্টার কাউন্সিল অফ ইয়র্কশায়ার সম্প্রতি একটা গল্প টুইটারে শেয়ার করেছে। একটা মৃত তিমির গল্প উল্লেখ করে সেই সংস্থার দাবি, "করোনা সংক্রমণ (corona) প্রতিরোধে নিজের বুদ্ধি না খাটিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন।" কেন এমন পরামর্শ। সেই গল্পে তারই উল্লেখ। ডনকেস্টার কাউন্সিল অফ ইয়র্কশায়ার লিখেছে, "১৯৭০-এ ইউএস (US)-এর ওরেগাঁওয়ের সমুদ্র সৈকতে একটা মরা তিমি ভেসে এসছিল।সেই বৃহদাকার তিমি স্থানীয় প্রশাসনের মাথাব্যাথার কারণ হয়েছিল। তাই তারা চেষ্টা করেছিল ডিনামাইট দিয়ে সেই মৃতদেহ উড়িয়ে, দেহাবশেষ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবে। কিন্তু যেমন পরিকল্পনা, তেমন ফল মেলেনি। উলটে সেই ডিনামাইট বিস্ফোরণ বিড়ম্বনার কারণ হয়েছিল ওরেগাঁও প্রশাসনের." কেন?
সরকারি, বেসরকারি সব ল্যাবেই বিনামূল্যে হোক করোনা পরীক্ষা: শীর্ষ আদালত
সেই জবাব দেওয়া আছে ডনকেস্টার কাউন্সিল অফ ইয়র্কশায়ারের গল্পে। বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা প্রশাসনিক কর্তাদের নিষেধ করেছিল ডিনামাইট বিস্ফোরণ না করতে। আর সেটাই একমাত্র পথ হলে কমানো হোক বিস্ফোরকের পরিমাণ। কিন্তু সেই উপদেশে পাত্তা না দিয়ে অত্যাধিক (প্রায় ৫০০ কেজি) বিস্ফোরক দিয়ে ফাটানো হয় সেই মৃত তিমির দেহ। এতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ হয়। রক্ত, মাংস-সহ দেহাবশেষ গিয়ে পরে তটে উপস্থিত মানুষদের গায়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেক পরিবহণ। কিন্তু সেই তিমির দেহের অনেকটাই পড়ে থাকে সমুদ্রের তটে। আর এই ফ্লপ শোয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডনকেস্টার কাউন্সিল অফ ইয়র্কশায়ারের পরামর্শ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এই গল্পটা সবসময় মনে রাখবেন। এই গল্পের ৩টি সারমর্ম আছে।
এক) কখনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ উপেক্ষা করবেন না। ওরা জানে কেন সেই পরামর্শ দিতে হয়।
দুই) অন্তত বাইরে বেরিয়ে কোনও অঘটন ঘটানোর চেয়ে, কোনও সময় কর্মহীন ভাবে বাড়িতে বসে থাকা ভালো। দেখতে থাকুন প্রকৃতি কী পদক্ষেপ নেয়।
তিন) যখনই আপনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষে করে বোকামি করছেন, তখনই আপনি অন্যদের বিপদে ফেলছেন। তাই স্বার্থপর হওয়া বন্ধ করুন।
দেখে নিন ডনকেস্টার কাউন্সিল অফ ইয়র্কশায়ারের সেই পরামর্শ:
নিজেদের মতো করে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নেটিজেনরা।