বিজেপির হাতে উন্নয়নের কার্ড না থাকায় সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলছে তাঁরা, মনে করেন Mamata Banerjee (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- বিজেপির বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- যোগী আদিত্যনাথ এবং অনুরাগ ঠাকুরের সমালোচনাও শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর কণ্ঠে
- উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেই বলেই সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলছে বিজেপি, মত তাঁর
নয়া দিল্লি: ফের একবার বিজেপির তীব্র সমালোচনা শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) "গোলি-বোলি" মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্বেষের রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। ভোটের (Delhi Assembly Elections 2020) আগে বিজেপি "সাম্প্রদায়িক কার্ড" খেলতে ব্যস্ত কারণ তাঁদের কোনও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেই, কেন্দ্রের শাসক দলকে বিঁধে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "তিনি (যোগী আদিত্যনাথ) কীভাবে বলতে পারেন 'বোলি সে নেহি মানেগা তো গোলি চালা দো' (কেউ যদি কথা না শোনে তাহলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাও)? আমি এর আগে এমন মন্তব্য কখনও শুনিনি। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও (অনুরাগ ঠাকুর) এমন কথা বলেছেন। ওঁরা আসলে বিদ্বেষের রাজনীতি করতে ব্যস্ত ...বর্তমানে দেশ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে", বলেন তৃণমূল নেত্রী।
আসন্ন দিল্লি নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির হয়ে প্রচারে এসে যোগী আদিত্যনাথ একটি সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই উচিত আইন মেনে উৎসব পালন করা। যদি কেউ শিবভক্তদের উপর গুলি চালায় তাহলে হানাহানি হবে। যদি কেউ কথা না শোনে তাহলে গুলির ভাষা বুঝতে বাধ্য তাঁরা। "আমরা কারও উৎসব বা বিশ্বাস পালনে বাধা দিই না। সবারই আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে উৎসব পালন করা উচিত। লেকিন শিব ভক্ত পর গোলি চালায়েগা কোই ব্যক্তি, দাঙ্গা করায়েগা, বোলি সে নেহি মানেগা তো গোলি সে তো মান হি জায়েগা (যদি কেউ শিবের ভক্তদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাহলে হানাহানি হবে ... কেউ যদি কথা না শোনেন তবে তাঁরা নিশ্চয়ই গুলির ভাষা বুঝবেন)।"
Lok Sabha: বিজেপি সাংসদদের "বিদ্বেষমূলক বক্তব্য", অভিযোগে ওয়াকআউট বিরোধী সাংসদদের
এর আগে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রিথালা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রচার চালানোর সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও। সেই প্রচার সভা থেকেই অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে "গুলি মারার' স্লোগান দেওয়ার উস্কানি দেন ওই বিজেপি সাংসদ। সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে শোনা যায়, দিল্লির নির্বাচনী প্রচার সভায় অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান তুলছেন, "দেশের বিশ্বাসঘাতকদের...", এর পরেই উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের বলতে শোনা গিয়েছে "গুলি মার শা..."। অর্থাৎ দেশের সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের গুলি করে মারো।
Budget 2020: এলআইসির শেয়ার বিক্রি ঘিরে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিজেপির এই প্রচারকদেরই নিন্দায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে বিজেপির কাছে কোনও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেই, তাই এই ধরণের বিদ্বেষের রাজনীতি করতে ব্যস্ত তাঁরা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন।