দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
হাইলাইটস
- উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মার্কিন পর্যটক
- পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫০ কিমি দূরে এই দ্বীপ অবস্থিত
- ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের ব্যাপারে জানার কাজ শুরু হয়েছে ছয়ের দশক থেকে
নিউ দিল্লি:
আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সংরক্ষিত এলাকা উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মার্কিন পর্যটক। ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের ব্যাপারে জানার কাজ শুরু হয়েছে ছয়ের দশক থেকে। গত ৬০ হাজার বছর ধরে বিশ্বের অন্য কোনও অংশের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে নিজেদের মতো করে বেঁচেছেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে পৌঁছনোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছেন মার্কিন নাগরিক জন অ্যালেন চাউ। তীর নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় কয়েকজন। এখনও তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
এখানে রইল দশটি তথ্য:
এই দ্বীপের বাসিন্দারা আদিম মানবের সরাসরি বংশধর। এঁরা এসেছেন আফ্রিকা। ভাষাও আলাদা।
পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫০ কিমি দূরে এই দ্বীপ অবস্থিত। অঈ দ্বীপে ৪০ থেকে 150 জন বাস করেন বলে অনুমান।
গত ৬০ হাজার বছর ধরে জীবনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। লাগেনি আধুনিকতার কোনও ছোঁয়া। মাছ আর নারকোল খেয়েই হয় দিন গুজরান।
বাইরে থেকে ওই দ্বীপে জীবাণু ঢুকে পড়লে সমস্যা হবে। সামান্য জ্বর নিয়ে ওই দ্বীপে গেলেও ওখানকার সমস্ত মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্বীপের বাসিন্দাদের ব্যাপারে জানার কাজ শুরু হয়েছে ছয়ের দশক থেকে।
এ পর্যন্ত ত্রিলোকনাথ পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তি ছাড়া এই দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে কারও বনিবনা হয়নি।
1981 সালে কার্গো জাহাজ সেখানে যায়। এক সপ্তাহ বাদে জাহাজে থাকা ব্যক্তিদের হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করে প্রশাসন। জাহাজের কয়েকটি অংশ আজও পড়ে রয়েছে।.
২০০৬ সালে দুই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয় সুনামির পরও বাইরে সাহায্য নিতে চাননি এখানকার বাসিন্দারা।
এই দ্বীপে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কড়া আইন আছে ভারত সরকারের।
কিন্তু এ বছরের শুরুতে নিয়মে কিছুটা বদল আসে। তার ফলে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সরকারি অনুমতি না নিয়েই এটি সহ আঠাশটি দ্বীপে যেতে পারবেন বিদেশি নাগরিকরা।
Post a comment