WhatsApp Hack: প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রফুল্ল প্যাটেলের ফোন সরকার হ্যাক করেছিল, অভিযোগ কংগ্রেসের (ফাইলচিত্র)
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরা, তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের ফোন হ্যাক (WhatsApp Hack) করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, চাঞ্চল্যকর দাবি করল কংগ্রেস। ধরা পড়ে গেছে মোদি সরকার, এমন দাবিই করল ওই বিরোধী দল, পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের (WhatsApp Snooping Row) সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক এবং মন্ত্রীদের উপযুক্ত শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করল হাতের দল। "হোয়াটসঅ্যাপ যাঁদের ফোন হ্যাক হয় তাঁদের সকলকে যখন বার্তা পাঠায়, তখন এরকম একটি বার্তা পান প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরাও (Priyanka Gandhi Vadra)", সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা ।
গত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক অভিযোগ করে যে ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসও স্পাইওয়্যার পেগাসাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারগুলি ব্যবহার করেছে এবং তাঁরা ২০ টি দেশের প্রায় ১,৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তাঁরা। ফেসবুক জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকার কর্মী এবং প্রবীণ সরকারি আধিকারিকের হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারকে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করেছে।
১২১ জন ভারতীয়কে নিশানায় রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপের স্পাইওয়্যার: আপনি সুরক্ষিত তো?
এমনকি গত মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসওয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করে। যদিও এনএসও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। "আমরা এই অভিযোগগুলিকে অস্বীকার করছি এবং আমরা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাদের প্রযুক্তি মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন বা লাইসেন্স করা হয়নি", সাফাই দেয় তাঁরা। সংস্থাটি আরও বলে যে, পেগাসাস কেবল "পরীক্ষিত এবং বৈধ সরকারি এজেন্সিগুলিতে" লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
"আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে": কেন্দ্র সহ ২-৩টি রাজ্যের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
বিজেপি সরকার "ধরা পড়ে গেছে" এমন দাবি করে কংগ্রেস রবিবার এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে একের পর এক প্রশ্ন রেখেছে।
বিজেপিকে "ভারতীয় জাসুস পার্টি" বলে উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা সুরজেওয়ালা বলেন, সরকার "বিষয়টি জানার পরেও" এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল।
তিনি বলেন, "১২ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ফেসবুকের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, অথচ তিনি সেই সময়ে এই হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলেননি... এটা একটা রহস্যজনক নীরবতা"।