Read in English
This Article is From Aug 02, 2018

2005 সালে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে মমতা বলেছিলেন ঠিক উল্টো কথা

13 বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কী বলেছিলেন তিনি? 13 বছর আগেও তাঁর কথা বলার ভঙ্গি একইরকম নাটকীয় ছিল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Highlights

  • "বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যের বিপর্যয় ডেকে আনবে", বলেছিলেন মমতা
  • অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিয়ে লোকসভায় তেরো বছর আগে তোলপাড় করেছিলেন তিনি
  • কিন্তু বর্তমানে তাঁর অবস্থান একশো আশি ডিগ্রি বিপরীত হয়ে গিয়েছে
নিউ দিল্লি:

গত কয়েকদিন ধরে অসমের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তিনি প্রবলভাবে মুখর। বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচক। তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই কথাও বলেন যে, কেন্দ্র যদি তাদের নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে, তাহলে গৃহযুদ্ধ হয়ে রক্তগঙ্গা বওয়ারও সম্ভাবনা আছে।

কিন্তু, 13 বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কী বলেছিলেন তিনি? 13 বছর আগেও তাঁর কথা বলার ভঙ্গি একইরকম নাটকীয় ছিল। কণ্ঠস্বরেও ছিল এখনকার মতোই জোর। কেবল, বক্তব্যটা ছিল পুরোপুরি বিপরীত।

তৎকালীন বাংলার বিরোধী দলনেত্রী এবং তাঁর দলের একমাত্র সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাংলাদেশ থেকে বাংলায় অনুপ্রবেশ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এটি এখন পশ্চিমবঙ্গের কাছে এক অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে”। তিনি এটিও তখন বলেছিলেন যে, ভোটার তালিকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের নামও রয়েছে।

Advertisement

ওই সময় লোকসভায় তিনি এই ব্যাপারটিকে ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে বিতর্ক করতে চাইলে, তৎকালীন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে থামিয়ে দেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে তারপর অভিযোগ করেছিলেন মমতা। শুধু তাই নয়। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী, প্রিসাইডিং অফিসার, চরঞ্জিৎ সিংহ অটওয়ালের  লক্ষ্য করে তাঁর হাতে থাকা একগাদা কাগজ ছুঁড়ে মেরে গোটা সংসদ কক্ষকে স্তম্ভিত করে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়ে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান।

যদিও, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি লোকসভার অধ্যক্ষ। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পরে বলেছিলেন, পদত্যাগপত্রটি যথাযথভাবে পেশ না করার কারণে গ্রহণ করা হয়নি।

Advertisement

 

 

Advertisement