This Article is From Mar 09, 2020

করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে আর কতদিনের অপেক্ষা, জানাল ভ্যাক্সিকন ২০২০

প্রায় ৫০০ চিকিৎসকদের নিয়ে এই সেমিনারে আলোচনায় উঠে এল করোনা (CORONAVIRUS) নিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই।

করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে আর কতদিনের অপেক্ষা, জানাল ভ্যাক্সিকন ২০২০

কলকাতায় আয়োজিত দু'দিন ব্যাপী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সেমিনার ভ্যাক্সিকন ২০২০

হাইলাইটস

  • আয়োজিত হল দু'দিন ব্যাপী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সেমিনার, ভ্যাক্সিকন ২০২০
  • দেশের প্রায় ৫০০ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ যোগ দিয়েছিলেন এই সেমিনারে
  • করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার অনেকটাই শেষের পথে
কলকাতা:

কলকাতা শহরে আয়োজিত হল দু'দিন ব্যাপী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি সেমিনার ভ্যাক্সিকন ২০২০ (Vaccicon 2020)। আয়োজক আকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস, কোলফিল্ড ব্রাঞ্চ, সেন্ট্রাল আক্যাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস, ইন্ডিয়ান চেস্ট সোসাইটি এবং সাউথ এশিয়ান পেডিয়াট্রিকস অ্যাসোসিয়েশন। শুধুমাত্র মণিপুর ছাড়া ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং ৭ টি সার্ক দেশের প্রায় ৫০০ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ যোগ দিয়েছিলেন এই সেমিনারে। বাচ্চাদের টিকা দেওয়া কতটা জরুরি এই নিয়ে যেমন আলোচনা হয় তেমনই আলোচনার মধ্যে উঠে আসে এই মুহূর্তে বিশ্ব কাঁপানো নোবেল করোনা ভাইরাসও। হু-এর তরফ থেকে এই ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে SARS COV2, আর এর দ্বারা সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয় COVID 19। গোটা বিশ্বে ৭০ টিরও বেশি দেশে এখন নোবেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ঢুকে পড়েছে। শুধুমাত্র চিনেই ৯০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতেও চলে এসেছে নোবেল করোনাভাইরাস। প্রায় ৫০০ চিকিৎসকদের নিয়ে এই সেমিনারে আলোচনায় উঠে আসে যে করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। আতঙ্কের পরিসংখ্যানে দেখা যায় এর থেকেও বেশি মৃত্যুর হার প্রত্যেকদিন দুর্ঘটনায়, ডেঙ্গুতেও ঘটে। চিনে করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তর হিসেবে দেখা যাচ্ছে  ৮১% র দেহে সংক্রমণ সামান্য, ১৪% কে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। ৫ % রোগীর ভেন্টিলেশন বা ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সাহায্য দরকার পড়ছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক ।

এখন ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে নোবেল করোনাভাইরাস (Coronavirus)। যেহেতু এটি প্রাণী ভাইরাস মানে প্রাণীর দেহ থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শুরু হয়েছিল তাই একজন থেকে আরেকজনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। প্রত্যেককেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আশার আলো একটাই যে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা গেলেই এই ভাইরাস তার ভয়ঙ্কর রূপ হারিয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে বসন্তের মনোরম হালকা ঠান্ডা ভাব চলে গেলেই যখন গরম পড়বে তখন এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাবে বলেই আশা দেখান সেমিনারে উপস্থিত চিকিৎসকেরা। আশার আলো আরও রয়েছে। আমেরিকার একটি জায়গা থেকে খবর আসছে যে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার অনেকটাই শেষের পথে। সেমিনারে উপস্থিত চিকিৎসকদের অবশ্য মত টিকা আবিষ্কার শেষের পথে হলেও তা বাজারে আসতে, মানুষের কাছে আসতে পরীক্ষার পরে অনেকটাই সময় লাগবে। প্রায় দু' বছরের কাছাকাছি। যদিও চিকিৎসকেরা আশা করছেন সচেতনতাই এই রোগ থেকে দূরে রাখবে মানুষকে।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করবে আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০, দাবি চিকিৎসকের,দেখুন ভিডিও

নোবেল করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্কের ব্যবহারের এখনই প্রয়োজন নেই। একমাত্র বিশেষ ধরনের মাস্ক ছাড়া অন্য মাস্ক ব্যবহার করে তেমন কোনও লাভই হবে না। তবে কি মানুষ বাইরে বেরোবেন না? আলোচনায় উঠে আসে, বাইরে তো বের হতেই হবে তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, এই রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

তবে এদেশে পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে হবে বলেই কথা হয় Vaccicon 2020 তে। পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র নাইসেডে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। আরও একটি পরীক্ষাগার হবে এসএসকেএমে। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশ তথা রাজ্যে ভাইরাস মোকাবিলায় পরিকাঠামো খুবই সামান্য। তাই বাড়াতে হবে পরিকাঠামো। রোগ নির্ণয় অনেক তাড়াতাড়ি হবে এবং এখন যেভাবে আলাদা করে রাখতে হচ্ছে তা আর রাখতে হবে না বলেই জানান সেমিনারে উপস্থিত চিকিৎসক অতনু ভদ্র।

.