পুলিশ কর্তাদের বিমান বন্দরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন অখিলেশ।
হাইলাইটস
- এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশের
- ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংসদ
- এই ঘটনার জেরে উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা
লখনউ: তাঁকে লখনউ বিমান বন্দরে আটকানো হয়েছিল বলে জানালেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। প্রয়াগরাজ যাওযার সময় একটি বিশেষ বিমানে উঠতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করে তাঁর দাবি, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসার। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তর্ক করছেন অখিলেশ। এর পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া টিমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাধারণ পোশাক পরা এক ব্যক্তি অখিলেশের গায়ে হাত দিচ্ছেন। পাল্টা অখিলেশ বলছেন, গায়ে হাত দেবেন না, মুখে কথা বলুন।
প্রধানমন্ত্রী অনিল আম্বানির মধ্যস্থতাকারীর ভুমিকা পালন করছেনঃ রাহুল
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংগঠন। সভাপতি পদে জিতেছে তাদের প্রার্থী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশের।
পরে সাংবাদিকদের অখিলেশ জানান, "এই সফরের বিষয়টি ২৭ ডিসেম্বর ঠিক হয়। আমি তখনই জানিয়েছিলাম। আজ ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা আছে"।
প্রধানমন্ত্রী অনিল আম্বানির মধ্যস্থতাকারীর ভুমিকা পালন করছেনঃ রাহুল
ঘটনা সম্পর্কে প্রয়াগরাজের পুলিশ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা চাননি অখিলেশ সেখানে যান। তাঁদের মনে হয়েছিল এর ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এ সম্পর্কে পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশের কাজ। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যকে হিংসার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা থেকে ওদের বিরত থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের মনে হয়েছিল অখিলেশ গেলে আইন- শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে।
পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিমান বন্দরে কথা বলছেন অখিলেশ যাদব।
এদিকে এই ঘটনার জেরে উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা। দলীয় বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দলের প্রবীণ নেতা এবং অখিলেশের কাকা রামগোপাল যাদব বলেন, "আমি মনে করি এই কাজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ আছে"। অন্যদিকে অখিলেশের দলের সঙ্গে জোট করা বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর দাবি এটা থেকে রাজ্য সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়।