চিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯০৮ এবং ৪০১৭১ জনের দেহে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস
হাইলাইটস
- চিনে ভ্রমণের ইতিহাস নেই যাদের, তাদের দেহেও করোনাভাইরাসের জীবাণু
- করোনাভাইরাস মহামারী যাতে মৃতের সংখ্যা ৯০৮ হয়ে গেছে
- গোটা বিশ্বে ৩০০ করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান সোমবার জানিয়েছেন, "চিনে ভ্রমণের ইতিহাস নেই যাদের, তাদের দেহেও করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে ,এরকম কিছু ঘটনার চিন্তাজনক উদাহরণ রয়েছে। হতে পারে এটি হিমশৈলের চুড়া মাত্র।" সমস্ত দেশের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, যে ভাইরাস ৯০০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে চিনে, তার আগমন সম্পর্কে সবাই যেন ওয়াকিবহাল থাকে এবং প্রস্তুত থাকে তার মোকাবিলা করার জন্য।
.টেদ্রস আধনম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, "নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে, সেই সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সত্যিকারের নায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।" চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে ডিসেম্বরে প্রথম থাবা বসায় এই ভাইরাসটি। । লক্ষ লক্ষ মানুষকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে যাতে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমানো যায়।
"২০১৯ এ নোবেল করোনাভাইরাসের সংক্রমনের বেশ কিছু চিন্তাজনক উদাহরণ বা ঘটনাও রয়েছে, যারা চিনে কোনভাবেই আসেননি । সংখ্যায় অল্প হলেও এই ধরনের ঘটনা ব্যাপক আকারে, অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিতও হতে পারে এটি। ছোট করে বললে আমরা হয়তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র দেখতে পাচ্ছি।" টুইট করেছেন হুয়ের ডিরেক্টর ঘেব্রেইসাস।
"২০১৯ এ নোবেল করোনাভাইরাসের(Coronavirus) সংক্রমনের বেশ কিছু চিন্তাজনক উদাহরণ বা ঘটনাও রয়েছে, যারা চিনে কোনভাবেই আসেননি । সংখ্যায় অল্প হলেও এই ধরনের ঘটনা ব্যাপক আকারে, অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিতও হতে পারে এটি। ছোট করে বললে আমরা হয়তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র দেখতে পাচ্ছি।" টুইট করেছেন হুয়ের(WHO) ডিরেক্টর ঘেব্রেইসাস।
"একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার জন্য সমস্ত দেশকে# ২০১৯n CoV এর আগমনের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর অর্থ হল দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরী ব্যবস্থা তৈরি রাখা, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা যা জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে লাগবে," বলেছেন তিনি।
চিনের(China) স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, নোভেল করোনাভাইরাস(Coronavirus) মহামারী যাতে মৃতের সংখ্যা ৯০৮ হয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, চিনের বাইরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা ধীরগতিতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেগুলিকে যদি কোনভাবে লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে এই ভাইরাস জয়ী হবে।
চিনের ৩১ টি প্রদেশের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯০৮ এবং ৪০১৭১ জনের দেহে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস, সোমবার জানিয়েছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
রবিবার পর্যন্ত ৩৬ টি নিশ্চিত ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে একটি মৃত্যুর খবর এসেছে হংকং থেকে দশটি নিশ্চিত ভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে ম্যাকাও এবং আঠারোটি তাইওয়ান থেকে। এর পাশাপাশি গোটা বিশ্বে ৩০০ করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে। যাদের মধ্যে তিনজন কেরল থেকে রয়েছেন।
চিনের বাইরে ৩০ টি জায়গা থেকে প্রায় ৩৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একজনের ফিলিপিন্সে মৃত্যু হয়েছে। অপরজনের হংকংয়ে মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ তাদের দেশে চিন থেকে আসা আপাতত নিষিদ্ধ করেছেন। চিন ছাড়াও জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি ছাড়াও ইউরোপীয় দেশ যার মধ্যে ফ্রান্স, রাশিয়া বেলজিয়াম, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং স্পেনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)