ঘটনায় এক পুলিশ ইনস্পেকটরের সঙ্গে মারা যান এক সাধারণ মানুষ
মীরাট: গ্রামের ধারে জঙ্গলের বাইরে কে বা কারা ছড়িয়ে রেখেছে গোমাংস, এমন এক 'কথা' কানে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। সেই জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে খুন হতে হয় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ইনস্পেকটরকে। সেই খুনের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন দিন। মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ এখনও অধরা। তিনজনকে আপাতত গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, গো-হত্যার অভিযোগে গত সোমবার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। প্রসঙ্গত, ওই অভিযোগটি দায়ের করেছিল যোগেশ রাজ স্বয়ং। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে নিলেও এখন গোপন ডেরা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে নিজেকে 'নির্দোষ' বলে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর বজরং দলের কর্মী যোগেশ রাজ। আইজি রাম কুমার বলেন, যতক্ষণ না সম্পূর্ণ প্রমাণ হাতে আসছে, ততক্ষণ পুলিশ কোনও কিছু করতে অপারগ।
"আমরা একমাত্র প্রমাণ পেলেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তাছাড়া নয়। আমাদের ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয় যে, কে গুলি করেছিল পুলিশ অফিসারকে। কে সুমিত (এই ঘটনায় মৃত দ্বিতীয় ব্যক্তি)'কে গুলি করেছিল, স্পষ্ট নয় সেটাও", এনডিটিভিকে বলেন তিনি।
"কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন যা, তা হল, এই গো-হত্যার পিছনে রয়েছে কে বা কারা? কারা রয়েছে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে? সেটা জানা অত্যন্ত জরুরি। যে মানুষটিকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাকে ধরার চেয়েও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া বেশি প্রয়োজন। কারণ, এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও ফরেনসিক প্রমাণ নেই", বলেন তিনি।
অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং।