মমতা যে কেন্দ্রের শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তা বুঝতে সমস্যা হয় না।
হাইলাইটস
- ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- তা থেকে রাজনৈতিক বার্তা খুঁজে পাওয়া গেল অতি সহজেই
- নাম না করে বিজেপিকে বিঁধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ আনেন মমতা
নিউ দিল্লি: ইদের (Happy Eid 2019) শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal Chief Minister)। আর তা থেকে রাজনৈতিক বার্তা খুঁজে পাওয়া গেল অতি সহজেই। মমতা লিখেছেন হিন্দুরা ত্যাগের প্রতীক, মুসলমানরা ইমানের প্রতীক। খ্রিষ্টানরা ভালোবাসার প্রতীক। আর শিখেরা প্রতীক। এ নিয়েই আমাদের ভালোবাসার দেশ তৈরি হয়েছে। আর আমরা সেটিকে রক্ষা করব, এর পরেই মমতা লেখেন, ‘হামসে যো টাকরায় গা উয়ো চুর চুর হো জায়গা'। অতি পরিচিত এই সংলাপ দিয়ে মমতা ঘুরপথে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক তাৎপর্য বহুগুণে বেড়েছে। ১৮টি আসন এবং ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়ে বিজেপি প্রবলভাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জয় বাংলা লেখা ১০ হাজার পোস্ট কার্ড পাঠাল তৃণমূল
স্বভাবতই শুধু লোকসভায় ভালো ফল করেই থেমে থাকতে চাইছে না পদ্ম শিবির। বাংলা দখলের নীল নকশাও ছকে ফেলেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আগামী দিনে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইটা অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। নিজেকে প্রস্তুত করছেন মুখ্যমন্ত্রীও। ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে করা টুইট থেকে সেই বার্তাই আরও একবার স্পষ্ট হল।
তোষণের রাজনীতি করেন বলেই জয় শ্রী রাম শুনে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন মমতাঃ বাবুল
পাশাপাশি অনেকে মনে করছেন এভাবে টুইট করে হিন্দুদেরও বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জয় শ্রী রাম ধ্বনি বিতর্কে তাঁর জড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দিক থেকে তুমুল প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। এমনিতেই মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ আনে পদ্ম শিবির। এই বিতর্কের পর সেই সুযোগ তারা আরও অনেক বেশি করে পেয়েছে। এদিন তাদেরও বার্তা দিলেন মমতা। একইসঙ্গে টুইটারে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তুলে আনলেন ইভিএমে কারচুপি প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, কেউ খারাপ চাইলেই খারাপ হয় না। ঈশ্বর যা চান তাই হয়। যারা যত তাড়াতাড়ি ইভিএম দখল করেছে তারা ততো তাড়াতাড়ি দেশ থেকে বিদায় নেবে। কারও নাম না করলেও মমতা যে কেন্দ্রের শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তা বুঝতে সমস্যা হয় না।