Rs 1 idli granny: এটাই এখন কমলথলের পরিচয়
হাইলাইটস
- কমলথল বলেন, এই দামে খাবার বিক্রি করতে পেরে তিনি তৃপ্ত
- প্রবীণ কমলথলের কাজ শুরু হয় ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে, শেষ হয় দুপুরে
- সারাদিনে তিনি ৪০০-৫০০ টি ইডলি বিক্রি করে রোজগার করেন মাত্র ২০০ টাকা
কোয়েম্বাটুর: সাদাসিধে জীবন যাপন করতে দিনে কত টাকা লাগে? নেট যুগে দিনযাপনের এই অঙ্ক একেক জনের কাছে একেক রকম। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ৮০ বছরের কমলথল দিনে মাত্র ২০০ টাকা রোজগার করতে পারলেই খুশি। সেই খুশিতে তিনি রোজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০০-৫০০টি ইডলি বিক্রি করেন মাত্র ১ টাকায়! কেন এত কম দামে খাবার বিক্রি করেন কমলথল (Kamalathal)? প্রবীণার যুক্তি, এটাই তাঁর কাছে সুখের। আর এই কাজের জেড়ে তিনি এলাকার রুপিস ১ ইডলি গ্র্যানি। সোশ্যালে ভাইরাল তাঁর গপ্পো। এক-দু-দিন নয়, টানা দুই দশক ধরে এভাবেই ইডলি বিক্রি করে আসছেন তিনি।
প্লাস্টিকের বোতল ও টায়ারের বাগান! বাংলার ফরেস্ট আধিকারিকের অভিনব উদ্যোগ
ঠাম্মির যুক্তি, তিনি একা মানুষ। নিজের বলতে কেউ নেই। কার জন্য তিনি গাদা গাদা রোজগার করবেন! তার থেকে এই-ই ভালো। গত ২০ বছর ধরে এভাবেই ইডলি বিক্রি করে দিনে ২০০ টাকা আয় করছেন। তাঁর একার পেট ভরতে এর থেকে আর কত টাকা লাগবে? তৃপ্তির হাসি হেসে এক টাকার ইডলি গ্র্যানি আরও জানান, ক্রোড়পতি হতে চাইলে এতদিনে তিনি সেটা হতেই পারতেন। কিন্তু এই সাদামাঠা জীবনই তাঁর বেশি পছন্দের।
ইডলির সঙ্গে আর কী দেন আম্মা? গরমাগরম ইডলিকে আরও স্বাদু বানাতে তিনি নিজের হাতে রাঁধেন সম্বর। মাত্র ১ টাকায় এই পেটভরা খাবার পেয়ে ভীষণ খুশি ঠাম্মির রোজের ক্রেতারা। সম্প্রতি, এই খবর কানে গেছে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রার। ভিডিও সমেত আম্মার খবর টুইট করেছেন তিনি। সঙ্গে এও লিখেছেন, এত সরল জীবনযাপন সবার আদর্শ হওয়া উচিত। ঠাম্মিকে দেখছি এখনও কাঠের উনুনে রান্না করছেন। তিনি আরও বলেন, ঠাম্মি রাজি থাকলে তিনি ইডলির ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে রাজি। তার সঙ্গে দিতে চান এলপিজি গ্যাস স্টোভ।
মথুরার 'ছাপান্ন ভোগ' এবছর উৎসর্গ ISRO-কে
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে কমলথল সারা দেশ থেকে সাহায্যের আশ্বাস পাচ্ছেন। খবর, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড খুব শীঘ্রই নাকি তাঁকে গ্যাস স্টোভ দেবে।
এত জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরেও ঠাম্মি কিন্তু ক্রেতাদের ভরপেট খাওয়াতে পেরেই বেশি খুশি। আর ক্রেতারাও স্বীকার করেছেন, ঠাম্মির হাতের ইডলি একবার যে খেয়েছে তার পক্ষে কিছুতেই ভোলা সম্ভব নয় তার স্বাদ।