This Article is From Dec 06, 2018

কর্নাটকের গ্রামে জলাশয় থেকে কেন জল বের করে দিল প্রশাসন?

 এইডস আক্রান্ত তরুণীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল জলাশয়ের  জলে। আর তাই সেই জল খাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের একটি গ্রামের হাজার  খানেক বাসিন্দা।

কর্নাটকের গ্রামে জলাশয় থেকে কেন জল বের করে দিল প্রশাসন?

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি  জল বের করে  দেওয়া  ছাড়া আর  কোনও  পথ ছিল না।                                                    

হাইলাইটস

  • আধিকারিকদের দাবি জলাশয় থেকে জল খেতে রাজি নয় প্রশাসন
  • জীবাণুর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই, দাবি বিশেষজ্ঞদের
  • এ মাসের ২০ তারিখের মধ্যে ন্তুন জল দেওয়া হবে জলাশয়ে
বেঙ্গালুরু:

এইডস আক্রান্ত তরুণীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল জলাশয়ের  জলে। আর তাই সেই জল খাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের একটি গ্রামের হাজার  খানেক বাসিন্দা। প্রশাসনের হাজার অনুরোধ এবং আশ্বাসেও কাজ হয়নি। নিজেরাই জলাশয় থেকে জল বের করে  দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। যন্ত্রপাতি পর্যন্ত এনে রেখেছেন তাঁরা। দেমতাবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে জলাশয় থেকে জল বের করে দিল প্রশাসন। জল সম্পূর্ণ বের করে দেওয়ার পর নতুন করে জল দেওয়া হবে। কিন্তু এত কিছুর প্রয়োজন  ছিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে  জলে  খোলা  অবস্থায় থাকলে এইডসের জীবাণু আট ঘণ্টার মধ্যেই মরে যায়। আর দেহ উদ্ধারের পর ছ'দিন অতিক্রান্ত হয়েছে তাই সংক্রমণের তেমন আশঙ্কা দেখছেন না কেউই।

মুম্বুইতে দিদিরি বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল নাবালিকা, তারপর কী অভিজ্ঞতা হল তার?      

ঘটনার সূত্রপাত ২৯ নভেম্বর। কর্নাটকের হুব্বালি জেলার মোরাব গ্রামের জলাশয়ে এক তরুণীর দেহ ভাসতে দেখা যায়। তিনি এইডসে আক্রান্ত  হয়েছিলেন বলে  প্রথমে  কেউ  তাঁর দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করেননি। শরীরের অনেকটাই খুবলে খায় মাছ। এরপর দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তৈরি হয় অন্য সমস্যা। ওই জলাশয়ের জল না খাওয়ার সিদ্ধান্ত  নেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ধারনা  হয় ওই জল খেলে  তাঁদের শরীরেও ঢুকে যাবে  এইডসের জীবাণু। প্রশাসনের  তরফে  বলা হয় জলের  পরীক্ষা হবে।  খারাপ  কিছু পাওয়া গেলে জল বের করে আনা হবে। গ্রামবাসীরা  এই প্রস্তাবেও রাজি হলেন না। কোনও  ঝুঁকিই নিতে চান না তাঁরা। ক্রমশ বড় আকার নিতে থাকে ক্ষোভ।  বাধ্য হয়  জল বের কপরে দেওয়া হয় জলাশয় থেকে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি  জল বের করে  দেওয়া  ছাড়া আর  কোনও  পথ ছিল না।

.