This Article is From Jan 01, 2020

"বাংলায় বঙ্গ জয়?"কেন হঠাৎ বাংলা শিখছেন অমিত শাহ?

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও এক বছর বাকি। কিন্তু এখনই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)।

অমিত শাহ নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ

নয়াদিল্লি:

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও এক বছর বাকি। কিন্তু এখনই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)। নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করতে কোথাও কোনও খামতি যাতে না থাকে এবং সেখানে ভাষা যাতে কোন অন্তরায় না হয়, এই কারণেই এখন বাংলা ভাষা শিখছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর তাই বাংলার একজন শিক্ষকও নিজের জন্য নিয়োগ করে ফেলেছেন তিনি। লক্ষ্য অন্তত বাংলা ভাষাটা যেন তিনি বুঝতে পারেন। বাংলার নির্বাচনী প্রচারে যখন তিনি বক্তব্য রাখবেন তখন তার সেই বক্তব্য যেন বাংলা দিয়ে শুরু করতে পারেন। যাতে তা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয় শ্রোতাদের কাছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "মা-মাটি-মানুষের" স্লোগান যথেষ্ট জনপ্রিয়। আজকাল বাঙালি অস্মিতার কথাও বিভিন্ন সময় তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে। নিজের সভায় তিনি অমিত শাহকে সব সময়ই বাংলার বাইরের মানুষ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না।

সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় পথে নামবে বিজেপি

যদিও অমিত শাহ নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। প্রত্যেক নির্বাচনের জন্য তাঁর আলাদা আলাদা রণনীতি থাকে। কিন্তু প্রথমেই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় মাত খাওয়ার পর ঝাড়খন্ডে হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে, তাই বাংলায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না অমিত শাহ। বাংলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কামান, নিজের হাতেই রাখতে চান তিনি। এর জন্য প্রয়োজন রাজ্যের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খবর নেওয়া এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা। কিন্তু এসব করতে গিয়ে ভাষা যেন কোন অন্তরায় না হয়, সেই জন্যই এবার বাংলা ভাষা শিখছেন অমিত শাহ। যদিও পশ্চিমবঙ্গের একজন বড় নেতা জানিয়েছেন এতে কোনও নতুনত্ব নেই। কারণ অমিত শাহ বাংলা এবং তামিল ছাড়াও আরও চারটি প্রদেশের ভাষা শিখছেন। যদিও অনেকেই অবাক হন যে বহু বছর গুজরাটে থাকার পরেও অমিত শাহ এত ভালো হিন্দি কী করে বলেন!

"মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে" এমন কিছুর প্রয়োগ নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায় যে জেলে থাকার সময় এবং দু'বছর গুজরাটের বাইরে থাকার আদালতের নিষেধাজ্ঞার সময়, তিনি হিন্দি ভাষাটিকে আয়ত্ত্ব করেন। বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গা চসে ফেলেন, বহু তীর্থক্ষেত্রও যান তিনি। এর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনীতি, সামাজিক পরিস্থিতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে তাঁর ধারণা, জ্ঞান আরও স্পষ্ট হয়। বলা হয় অমিত শাহের এই সমীক্ষার জন্যই গুজরাট থেকে বেরিয়ে তিনি উত্তর ভারত এমন কী উত্তর-পূর্ব ভারতের নির্বাচনী অভিযানকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। খুব কমসংখ্যক মানুষই জানেন যে বহুভাষী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অমিত শাহ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন। চাপমুক্ত হওয়ার জন্য যোগাভ্যাস এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা করেন অমিত শাহ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.