This Article is From Aug 29, 2019

Kaushiki Amavashya: কবে পড়ছে এই তিথি? কেন সবাই এই দিনটি মানেন? পুজোয় কী সুফল পাবেন ?

আজ কৌশিকী অমাবস্যা৷ এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে গতকাল থেকে তুমুল ভিড় তারাপীঠে ৷ এ বছর ২৯ অগস্ট অর্থাৎ আজ সন্ধে ৭টা ৫৬ মিনিট থেকে  লাগছে অমাবস্যা ৷ থাকবে ৩০ অগাস্ট অর্থাৎ, আগামীকাল বিকেল ৪টে ৭ মিনিট পর্যন্ত।

Kaushiki Amavashya: কবে পড়ছে এই তিথি? কেন সবাই এই দিনটি মানেন? পুজোয় কী সুফল পাবেন ?

কৌশিকী অমাবস্যায় পূজিতা তারা মা

কলকাতা:

আজ কৌশিকী অমাবস্যা (kaushiki Amavasya)৷ এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে গতকাল থেকে তুমুল ভিড় তারাপীঠে ৷ এ বছর ২৯ অগস্ট অর্থাৎ আজ সন্ধে ৭টা ৫৬ মিনিট থেকে  লাগছে অমাবস্যা ৷ থাকবে ৩০ অগাস্ট অর্থাৎ, আগামীকাল বিকেল ৪টে ৭ মিনিট পর্যন্ত। কথিত আছে, এই তিথিতেই নাকি তারাপীঠের (Tarapith) মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। সেই বিশ্বাসেই কৌশিকী অমাবস্যাতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীদের ভিড় হয় তারাপীঠে।

এই অমাবস্যার আরেক নাম তারা রাত্রিও৷ শাস্ত্র মতে, তন্ত্র সাধনার জন্য কৌশিকী অমাবস্যাকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয়  ৷ তবে শুধু হিন্দু শাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও এই অমাবস্যার গুরুত্ব রয়েছে৷ কী এই কৌশিকী অমাবস্যা? জেনে নিন কীভাবে কালী পুজো করলে মনষ্কামনা ( Benefits) পূর্ণ হবে আপনার---

lnt38o6

কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ তন্ত্র মতে ও শাস্ত্র মতে, ভাদ্র মাসের এই তিথিতে তন্ত্র ও গুপ্ত সাধনা করলে আশাতীত ফল মেলে। সমস্ত দোষ নাকি কেটে যায়। প্রচুর অর্থ লাভ হয় মায়ের আশীর্বাদে। এই দিনের এক বিশেষ মুহুর্তে নাকি স্বর্গ ও নরক দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয়। এবং সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে ৷

চন্ডিতে বর্ণিত মহা সরস্বতী দেবীর কাহিনিতে বলা আছে, পুরাকালে শুম্ভ-নিশুম্ভ কঠিন তপস্যা করে ব্রহ্মাকে তুষ্ট করলে তিনি তুষ্ট হয়ে তাদের বর দেন, কোনও যোনি সম্ভূত নারী তাঁদের বধ করতে পারবে না। ৷ শুধু কোনও অ-যোনি সম্ভূত নারী তাদের বধ করতে পারবে অর্থাৎ এমন এক নারী যে কোনো মাতৃ গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়নি তার হাতেই এই দুই অসুরের মৃত্যু হবে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন নারী কই?

kpgtjf6o

পুরাণ বলছে, পূর্ব জন্মে পার্বতী পতিনিন্দা সইতে না পেরে সতী দক্ষ-যজ্ঞে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। ফলে, তার পর জন্মে দেবীর গায়ের রং কালো হয়। তাই তিনি আমাদের কাছে মা কালী রূপে পূজিত। একসময় শুম্ভ-নিশুম্ভদের অত্যাচারে দেবতারা যখন ক্লান্ত হয়ে কৈলাশে আশ্রয় নেন, দেবাদিদেব শিব তখন দেবী পার্বতীকে নির্দেশ দেন, কালিকা রূপে অসুর সংহার করার। কিন্তু সবার সামনে 'কালী' বলে ডাকায় পার্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ,অপমানিত ও ক্রোধিত মনে মানস সরোবর এর ধারে কঠিন তপস্যায় বসেন। এবং তপস্যান্তে মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা ত্যাগ করে পূর্ণিমার চাঁদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করেন। দেবীর দেহের ওই কালো কোশিকা থেকে এরপর এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবী জন্মান। ইনি অ-যৌনি সম্ভূত দেবী কৌশিকী। আজকের এই বিশেষ তিথিতে দেবী দুই অসুরকে বধ করে দেবতাদের উদ্ধার করেন।, তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তারা মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

যাঁরা তারাপীঠ বা মন্দিরে যেতে পারবেন না তাঁরা বাড়িতেই কালী পূজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত একটা ঘিয়ের প্রদীপ ঘরের ঠাকুরের আসনের সামনে জ্বালিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন নিভে না যায়। এতে ভাল ফল দেয় ৷ মায়ের সামনে সামান্য আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮ টি জবা ফুলের মালা এবং কিছুটা ঘি দিয়ে পুজো দিন ৷ কালী পূজার দিন রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বেলে রাখুন ৷ সন্ধ্যার পর বট গাছের গোড়ায় তিনবার কালো তিল দিন। মনের আশা পূর্ণ হবে। সারাদিন পুজোর উপেস করে পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করালে খুব ভাল ফল লাভ হয় ৷ এছাড়া, মন্দিরে খাঁড়া দান করলে নাকি সব দোষ কেটে যায় ৷

Click for more trending news


.