বুধবার দিল্লিতে রাহুল ও সোনিয়ার সাথে দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
হাইলাইটস
- দিল্লিতে পৌঁছানোর পর থেকে মমতা ব্যানার্জি একের পর এক মিটিং করে গেছেন
- তিনি 19 শে জানুয়ারী-র বিরাট সমাবেশে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি বিরোধীদের
- তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য এখন অনেক ওপরে
নিউ দিল্লি: তিনদিনের দিল্লি সফরে গিয়ে রাজধানীর একের পর এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করছেন মমতা। তাঁদের মধ্যে সবাই যে বিরোধী দলের, তা নয়। কেউ কেউ আবার বিক্ষুব্ধ বিজেপিও বটে। তাঁর এই সফরের ট্যাগলাইন হল- "দুই হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ"। এই ট্যাগলাইন দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁর তিনদিনের দিল্লি সফরের মূল সুরটি ঠিক কোন তারে বাঁধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি 2019-এর মেগা সমাবেশে এই দেশের বিরোধী দলগুলির সমস্ত শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানাতে চান। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী-ঐক্য স্পষ্ট করার জন্য যে সমাবেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় তিনি প্রথমে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পুত্র তথা দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী তাঁর একটি ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, মমতা অথবা মায়াবতীকে জোটের পক্ষ থেকে 2019 সালের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
যদিও, প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়ার থেকেও মমতার কাছে অনেক 'পাখির চোখ' হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিজেপিকে হারানো। তিনি দিল্লিতেও তাই বলেন, " প্রধানমন্ত্রী কে হবে, তা নিয়ে পরেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে৷ আগে বিজেপিকে হারাতে হবে"। তাঁর কথাতেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত যে, বিজেপির বিরুদ্ধে যে জোটই লড়ুক, তারা যদি বিজেপিকে হারিয়ে দেয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর পদটি কে পাবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরেও প্রভূত দর কষাকষি হওয়ার সম্ভাবনা।