লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ কতগুলো আসন ছাড়বে, তা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্তটি জানতে চায় জেডিইউ
হাইলাইটস
- বিহারে এনডিএ'র মুখ হিসাবেই নীতিশ কুমারকে দেখছে বিজেপিঃ সিপি ঠাকুর
- আসন বন্টন নিয়ে বিজেপি ও জেডিইউ'র তরজা তুঙ্গে
- বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দলের নেতাদের মুখ খুলতে বারণ করলেন
নিউ দিল্লি: বিহারে তাদের জোটশরিক জেডিউ’র সঙ্গে অধুনা তীক্ত সম্পর্কটি মসৃণ করার জন্য বদ্ধপরিকর অমিত শাহ। জোটশরিকের এই মনোভাবটি অনেক আগেই টের পেয়েছিলেন তিনি। “বাজে বকা বন্ধ করুন”, এনডিএ সরকারের পতন চাওয়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের উদ্দেশে এই কথা বলেন অমিত শাহ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কের বুনোটটিও দৃঢ় করতে মরিয়া বিজেপি। এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে এবং গোপনে অমিত শাহকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে যে, তাঁর দল বিজেপি নীতিশ কুমারের হাত ধরে আরও অনেকটা পথ হেঁটে চলতে চায়। এক্ষুনি জোটশরিকের হাত ছেড়ে দেওয়ার কোনওরকম অভিপ্রায়ই নেই বিজেপির।
এই বিষয়ে 10’টি জ্ঞাতব্য তথ্যঃ
- “নীতিশ কুমারকে আমাদের দাদা ভাবতে কোনও সমস্যাই নেই। তাঁকে এনডিএ’র মুখ ভাবতেও কোনও সমস্যা নেই আমাদের। বিহারের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলটির নেতৃত্বে তো তিনিই”, এনডিটিভিকে বলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিহারের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সিপি ঠাকুর।
- সিপি ঠাকুরের এই বন্ধুত্বপূর্ণ বিবৃতিটি আসলে কোথাও গিয়ে যেন তাঁর নিজের দলের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে করা মন্তব্যের বিরোধিতারই প্রকাশ। কয়েক দিন আগেই একাধিক বিজেপি নেতা 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র দুটো আসন জেতা নীতিশ কুমারের দলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
- মাত্র এক বছর আগে নতুন করে গড়ে ওঠা বিজেপি ও জেডিইউ’র জোটের দুই শরিকের মধ্যে সম্প্রতি সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বৈরিতা এসেছে।
- জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দলের নেতাদের উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে নিবৃত্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
- জল্পনার শুরু হয়, যখন রাজ্যের সরকারি অতিথিশালার প্রাতরাশে আমন্ত্রিত নীতিশ কুমারের সঙ্গে নিজে দেখা না করে তাঁর আপ্তসহায়ককে পাঠিয়েছিলেন ভূপেন্দ্র যাদব।
- যদিও, নৈশভোজের সময় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে এনডিটিভিকে। নৈশভোজের টেবিলে নব্বইয়ের দশকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারী মামলায় অভিযুক্ত, বিজেপি এবং জেডিইউ’র রাজনৈতিক শত্রু লালুপ্রসাদ যাদবকে নিয়ে বেশ কিছু রসিকতাও হয়।
- বিহারে নীতিশ কুমারের ‘হর ঘর বিজলি’ প্রকল্পের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই কেন্দ্রের সৌভাগ্য যোজনা প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে বলে জল্পনা।
- জেডিইউ’র এক নেতা বলেন, নীতিশ কুমারের প্রতি অমিত শাতের প্রশংসার বন্যা বয়ে যেতে দেখে তাঁদের দলের নেতারাও বেশ বিস্মিত।
- অমিত শাহ ও নীতিশ কুমারের মুখোমুখি বৈঠকে বর্তমান সমস্যাটি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয় বলে মনে করছেন দলের নেতারা।
- অমিত শাহ জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ কতগুলো আসন ছাড়বে তাদের জন্য তা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্তটি জানতে চায় জেডিইউ।