মিস্টার মান্নান চেষ্টা করেন এখন প্রতি বছর অন্তত ১৬ হাজার খাবার বিনামূল্যে বিতরণ করতে যাদের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসি-র সাদা বাড়িটা থেকে মাত্র কয়েকটা ব্লক পেরিয়েই সাকিনা হালাল গ্রিল। চট করে দেখে অন্য আর পাঁচটা রেস্তোরাঁর মতোই মনে হবে। কিন্তু কোন রেস্তোরাঁর সঙ্গে এর একটি বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় যে কোনো মানুষের প্রয়োজনে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হয়। রেস্তোরাঁর মালিক কাজি মান্নান গত পাঁচ বছরে প্রায় ৮০ হাজার খাবার বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বলে রিপোর্টে প্রকাশিত। "যদি কারো মনে হয় যে তিনি পয়সা দিয়ে খেতে পারবেন না, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।" ডবলিউজেএলএ-কে এ কথাই বলেছেন মিস্টার মান্নান। ২০১৩ সালে রেস্তোরাঁ খোলেন তিনি। সেই থেকেই এই নীতি অনুসরণ করে চলেছেন মান্নান। তিনি বলেছেন, "যদি কোনো ব্যক্তির খাবার কিনে খাওয়ার পয়সা না থাকে, তাহলে এখানে এসে বিনামূল্যে খেয়ে যেতে পারেন। এখানকার পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। সকলেই এখানে একই রকমের সুযোগ সুবিধা পান, তা তিনি অর্থের বিনিময়ে খাবার কিনুন অথবা বিনামূল্যে তা নিন।"
বিয়ের অপেক্ষায় কনে, বর মত্ত পাবজি খেলায়
এর পিছনে অবশ্য একটা কারন রয়েছে। শৈশবে মিস্টার মান্নান অত্যন্ত কঠিন দিন দেখেছেন এবং তখনই তিনি ঠিক করেছিলেন যে বড় হয়ে মানুষের বিনামূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। পাকিস্তানের একটি ছোট্ট গ্রামে বড় হয়েছেন এই রেস্তোরাঁ মালিক। ছোট বেলায় তাকে দারিদ্র্য এবং খিদের সঙ্গে নিয়মিত লড়াই করতে হয়েছে।
বিবিসি-কে তিনি বলেন ছোটবেলায় দেখতাম বহু মানুষ খাবারের খোঁজে রাস্তায় পরিতক্ত কৌটোর মধ্যে হাত ঢোকাচ্ছেন, আমার খুব কষ্ট হতো। আমার নিজের শৈশব ও প্রায় এরকম ভাবেই কেটেছে।"
মিস্টার মান্নান চেষ্টা করেন এখন প্রতি বছর অন্তত ১৬ হাজার খাবার বিনামূল্যে বিতরণ করতে যাদের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে।
Click for more
trending news