This Article is From Jul 13, 2019

চেন্নাইয়ের জলবাহী ট্রেন কেন মেটাতে পারছে না শুষ্ক শহরের তৃষ্ণা ?

জলকষ্টে ভুগছে চেন্নাই,শহরের বাইরের ৪টি জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় ৪০ শতাংশ পাইপ লাইনে জল সরবরাহ বন্ধ

চেন্নাইয়ের জলবাহী ট্রেন কেন মেটাতে পারছে না শুষ্ক শহরের তৃষ্ণা ?

জলবাহী ওই স্পেশাল ট্রেনগুলি যে জল সরবরাহ করছে তা চেন্নাইয়ের দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ২ শতাংশেরও কম হবে

চেন্নাই:

প্রবল জলকষ্টে ভুগছে চেন্নাই (Chennai Water Crisis)। শুক্রবার প্রথম শহরে আসে ২.৫ মিলিয়ন লিটার জল নিয়ে ৫০ ওয়াগন বিশিষ্ট ট্রেন। কিন্তু জলবাহী এই বিশেষ ট্রেনটিও (Chennai  Water Trains) শহরের তৃষ্ণা নিবারণে ব্যর্থ কেননা বর্তমানে চেন্নাইয়ের জলকষ্ট মেটাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫২৫ মিলিয়ন লিটার জলের প্রয়োজন। শহরের (Chennai) বাইরে চারটি জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার পর ৪০ শতাংশ জল সরবরাহ পাইপগুলি থেকে আর জল পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে চেন্নাই গুরুতর জল সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি জলসরবরাহকারীদের থেকে জল নিতে গিয়ে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

ভার নিতে পারছে না সেতু, বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় বন্ধ হৃষিকেশের লক্ষ্মণ ঝুলা

রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৪টি করে জলবাহী বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেগুলি শহর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেত্তুর জলাধার থেকে দৈনিক ১০ লক্ষ লিটার জল আনবে। তবে, শুধুমাত্র এই বিশেষ ট্রেনগুলির জল সরবরাহ এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, কর্মকর্তারা মনে করছেন "এই জলবাহী ট্রেনের কারণে জলের সরবরাহ সামান্য বাড়তে পারে এই যা," এনডিটিভিকে বলেন রাজ্যের জলসরবরাহ দফতরের সচিব হরমন্দর সিং ।

"তামিলনাড়ুতে ছয় মাস বৃষ্টি হয় নি। এর ফলে জলের ঘাটতি হয়েছে। আমরা জল সরবরাহকারী ট্যাঙ্কারগুলির সংখ্যা দ্বিগুণ করেছি। এখন ওই ট্যাঙ্কারগুলি প্রতিদিন শহর জুড়ে ১২,০০০ ট্রিপ দিচ্ছে। আমরা সবাইকে জল দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি", বলেন হরমিন্দর সিং।

“জয় শ্রীরাম” বলতে কাউকে জোর করা উচিত নয়: NDTV কে বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

প্রতিদিন ওই ৪টি জলসরবরাহকারী ট্রেনের প্রতিদিনের ভাড়া হিসাবে তামিলনাড়ু সরকার ভারতীয় রেলকে ৩২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে। যদিও যে মেত্তুর বাঁধের কাছ থেকে ওই জল আনছে ট্রেনগুলি সেটির জলস্তরও গড় জলসীমার অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে, ফলে চেন্নাইবাসীকে এখনও জলকষ্টের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে।

দক্ষিণ চেন্নাইতে বসবাসকারী একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহজি ম্যাথিউজ জানিয়েছেন তিনি তাঁর বাড়িতে ব্যক্তিগত জল সরবরাহকারীদের থেকে ১২,০০০ লিটার করে জল কিনে বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্কটি পূরণ করছেন। কিন্তু যেখানে গত এপ্রিল মাসে এই জলের ট্যাঙ্কারটি ভর্তি করতে তাঁকে মাসে ২,০০০ টাকা খরচ করতে হয়েছিল সেখানে এখন তাঁকে ৫,০০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

“আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ, এখন আমার পেনশনের প্রায় অর্ধেক টাকা জলের পিছনেই খরচ হয়ে যাচ্ছে যা আমার পক্ষে খরচ করা খুব কষ্টদায়ক”,বলেন তিনি।

মধ্য চেন্নাইয়ে বসবাসকারী রাজা নামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে তাঁর গোটা অ্যাপার্টমেন্টে জল কিনতে মাসে ৭৫ হাজার টাকা করে লাগছে।“আমাদের কুয়োটি শুকিয়ে গেছে। গত এপ্রিলে যেখানে জলের পিছনে এক একজনের মাসিক ১,৯০০ থেকে ২,১০০ টাকা করে খরচ করতে হয়েছে সেখানে এখন মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়ে যাচ্ছে” বলেন ওই ব্যবসায়ী।

জানা গেছে,জলবাহী ওই স্পেশাল ট্রেনগুলি যে জল সরবরাহ করছে তা চেন্নাইয়ের দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ২ শতাংশেরও কম হবে। তবে সরকার আশ্বস্ত করেছে যে, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত দৈনিক প্রয়োজনীয় ৮৩০ মিলিয়ন লিটারের মধ্যে অন্তত ৫২৫ মিলিয়ন লিটার জল সরবরাহ করা হবে।

.