দিল্লিতে প্রশান্ত কানোজিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
হাইলাইটস
- আদিত্যনাথকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করে পাঁচজন গ্রেফতার
- সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি আগামীকাল শুনবে।
- এই ঘটনায় ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নয়াদিল্লি: দিল্লির সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া (Prashant Kanojia) যাঁকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি বিকৃত করার অভিযোগে, তাঁর স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন স্বামীর মুক্তির জন্য। আদিত্যনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে গত দু'দিনে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কানোজিয়ার স্ত্রী জগিশা অরোরা দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে যে পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার করেছেন তিনি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তা করেননি। ফলে তাঁর স্বামীর গ্রেফতারি বেআইনি। তিনি রবিবার সন্ধ্যায় NDTV-কে জানান, ‘‘আমার কাছে বিষয়টা খুব একটা পরিষ্কার নয়। পুরোটাই ঘটেছিল মিনিট পাঁচেকের মধ্যে। প্রশান্ত নীচে গিয়েছিল। তারপরই ফিরে এসে বলল পোশাক বদলিয়ে দু'জন লোকের সঙ্গে যেতে হবে।''
সাদা পোশাকের দু-জন ডেকে নিয়ে গেল ওঁকে : জানালেন প্রশান্তের স্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘‘স্টেশন হাউস আধিকারিক গতকাল (শনিবার) রাত ১০.৩০টায় আমাকে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দিয়েছিলেন। ও আমাকে জানিয়েছে, ও ভালো আছে আর আমিও যেন ভালো থাকি।''
জগিশার আইনজীবী শাদান ফারাসাত আদালতকে জানান, কানোজিয়ার বিরুদ্ধে করা এফআইআর বেআইনি। কোনও ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘এফআইআরটি বেআইনি কেননা মানহানির আইনে এফআইআর করার প্রয়োজন পড়ে না। এবং এটা ম্যাজিস্ট্রেটের বিষয়, পুলিশের নয়।'' এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এফআইআরে উল্লেখ করা অপরাধ জামিনযোগ্য।'' সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি আগামীকাল শুনবে।
প্রশান্ত এবং একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক ও সম্পাদককে নয়ডায় গ্রেফতার করা হয়। ওই দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা একটি ভিডিও সম্প্রচার করেছেন, যেটি আদিত্যনাথের পক্ষে অবমাননামূলক। এদেশের বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই ঘটনায় ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যা বিশ্বাস করতেন তা স্পষ্ট করে বলতেন, গিরিশ কারনাডের মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদীর
এছাড়াও গোরক্ষপুর থেকেও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর শক্ত ঘাঁটি গোরক্ষপুর থেকে সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের একটি টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে টুইটারেই অভিযোগ জানানো হলে তারই ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, টুইটারে বিজেপি নেতা সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট করেছেন তিনি।
‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া' গতকাল একটি বিবৃতিতে জানায় এই গ্রেফতারগুলি ‘স্বেচ্ছাচারপূর্ণ ও বিধিবহির্ভূত' এবং তাকে ‘আইনিরে স্বৈরাচারী অপব্যবহার' বলেও জানানো হয়।
এক মুক্ত সাংবাদিক কানোজিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ফেসবুক ও টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করার জন্য। ওই ভিডিওয় এক মহিলাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি যোগী আদিত্যনাথকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।
লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানার এক সাব-ইল্সপেক্টরের করা অভিটোগের ভিত্তিতে ২৬ বছরের কানোজিয়াকে গ্রেফতরা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ভারতীয় পেনাল কোডের সেকশন ৫০০ ও সেকশন ৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মুহূর্তে তিনি লখনউয়ের জেলে বন্দি।